Kashmir Turmoil: কী এই সংবিধানের ৩৭০ ধারা! যা রদ করার পর দেশ তোলপাড়
ভূ স্বর্গ এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। (Photo Credits: IANS Photo)

নয়া দিল্লি, ৫ অগাস্ট: সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র বড় ঘোষণা। সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন অমিত শাহ। যা শোনার পরই সংসদে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন বিরোধী নেতারা। পাশাপাশি ঘোষণা করা হয় জম্মু-কাশ্মীর আর লাদাখ দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়ে যাচ্ছে। পূর্ণ রাজ্য থাকছে না জম্মু-কাশ্মীর।

কিন্তু কী এই সংবিধানের ৩৭০ ধারা! ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ৩৭০ ধারা। এই ধারা বলেই জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। আরও পড়ুন-জম্মু-কাশ্মীর আর রাজ্য নয়, ভূ স্বর্গ হয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, ৩৭০ ধারা রদ

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীর ভারতের মধ্যে একটি ব্যতিক্রমী রাজ্য। যে ৩৭০ ধারাকে বল করে জম্মু-কাশ্মীরে প্রতিরক্ষা পররাষ্ট্র বা যোগাযোগের মত কয়েকটি বিষয় ছাড়া সব ক্ষেত্রে ভারত সরকার কোন আইন প্রয়োগ করতে গেলে সর্বপ্রথম এই জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্য সরকারের সম্মতি প্রয়োজন।

১৯৪৭ সালে, ব্রিটিশ ভারতকে ভারত ও পাকিস্তানে আলাদা করে ভারতীয় সাংবিধানিক আইন কার্যকর হওয়ার সময়কাল থেকেই ভারতভুক্তির বিষয়টি কার্যকরী হয়। ৩৭০ ধারা অনুসারে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা নাগরিকত্ব সম্পত্তির মালিকানা মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে, যা দেশের অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দা পেয়ে থাকে না। ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরের সংযুক্তিকরণের ইতিহাস ৩৭০ ধারার ভিত্তিতে নিহিত আছে।

এই আইনে তিনটি সম্ভাবনার কথা রয়েছে। প্রথমত স্বাধীন দেশ হিসেবে থেকে যাওয়া, দ্বিতীয়ত, ভারতের যোগদান অথবা, পাকিস্তানে যোগদান। এ ব্যাপারে কোনও লিখিত ফর্ম না থাকলেও, কী কী শর্তে এক রাষ্ট্রে যোগদান করা হবে, তা রাজ্যগুলি স্থির করতে পারত। অলিখিত চুক্তি ছিল, যোগদানের সময়কালীন প্রতিশ্রুতি রক্ষিত না হলে, দু পক্ষই নিজেদের পূর্বতন অবস্থানে ফিরে যেতে পারবে। কাশ্মীরের ভারতভুক্তির ৫ নং উপধারায় জম্মু-কাশ্মীরের রাজা হরি সিং স্পষ্টত উল্লেখ করে দিয়েছিলেন যে তাঁর সম্মতি ছাড়া ভারতের স্বাধীনতা আইনে এ রাজ্যের ভারতভুক্তি কোনও সংশোধনী আইনের মাধ্যমে বদলানো যাবে না। ৭ নং উপধারায় বলা ছিল যে এই ভারতভুক্তির শর্তাবলী ভবিষ্যৎ কোনও সংবিধানের মাধ্যমে বদলাতে বাধ্য করা যাবে না। ২৭ অক্টোবর ১৯৪৭, গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন সে চুক্তি অনুমোদন করেন।