প্রতীকী ছবি (ফাইল ফটো)

বিয়ের পর থেকেই হামেশাই চলত নির্যাতন। মেয়ের ওপর এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মাঝেমধ্যেই সাধ্যমতো কিছু টাকা দিত জামাইকে। তবে তারপরেও রুখত না অত্যাচার। মোটা টাকার পণের দাবি নিয়ে অব্যাহত ছিল অত্যাচার। রবিবার অত্যাচার এতটাই চরমে পৌঁছায় যে প্রথমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে, তারপর জোর করে কীটনাশক খাইয়ে গৃহবধূকে খুন করল স্বামী। গত রবিবার মালদার (Malda) কালিয়াচক থানা এলাকার মিলিক সুলতানপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। তবে রবিবার কীটনাশক খাওয়ানোর পরেও কোনওমতে বেঁচে যান বছর ২৬-এর জুলি মণ্ডল। এরপর তাঁকে বাপের বাড়ির লোকজনেরা মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর।

বিয়ের পর থেকেই শুরু অত্যাচার

জানা যাচ্ছে, বছর ১২ আগে প্রণব মণ্ডল নামে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কালিয়াচক থানা এলাকার রামা শঙ্করটোলার বাসিন্দা বিষ্ণু মণ্ডেলের মেয়ে জুলির সঙ্গে। তাঁদের আবার দুই সন্তানও রয়েছে। প্রণব পেশায় একজন দিনমজুর। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে জুলির ওপর অত্যাচার চালাত প্রণব। আর সেই অত্যাচার না করার জন্য মাঝেমধ্যেই প্রণবকে টাকা দিতেন বিষ্ণু। গত রবিবারও পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী

অভিযোগ, সেই টাকা পেয়ে অত্যাচার কম করা তো দূরের কথা, বাড়ি ফিরে বেধড়ক মারধর করে জুলিকে। তারপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করার চেষ্টা করে। তাতেও মৃত্যু না হওয়ায় কীটনাশক খাওয়ানো হয়। এসবের খবর পেতেই প্রণবের বাড়িতে পৌঁছায় জুলির বাপের বাড়ির লোকজন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং থানায় প্রণবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালে তাঁকে পুলিশ গ্রেফতারও করেন। এরমধ্যেই মঙ্গলবার মৃত্যু হয় জুলি মণ্ডলের।