নতুন দিল্লি, ২৭ ফেব্রুয়ারি: পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে (Punjab & Haryana High Court) বদলি করে দেওয়া হল দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) বিচারপতি এস মুরলীধরকে (Justice S Muralidhar)। মঙ্গলবার মাঝ রাতে নিজের বাসভবনে শুনানি ডেকে আহতদের নিরাপদে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলেজিয়ামের নির্দেশ মতো বিচারপতি মুরলিধরকে বদলি করে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
একইসঙ্গে বদলি করা হয় দিল্লির পাঁচ আইপিএস অফিসারকেও। গত সপ্তাহতেই বিচারপতি মুরলীধরকে পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলির সুপারিশ করে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রতিবাদও জানায় দিল্লি হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন। তবে শেষ পর্যন্ত বদলির সিদ্ধান্ততেই অনড় রইল কলেজিয়াম। বুধবার উত্তর পূর্ব দিল্লিতে চলা হিংসার ঘটনায় সক্রিয় কর্মী হর্ষ মন্দারের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুরলীধর দিল্লি হাইকোর্টের দুই সদস্যের বিভাগীয় বেঞ্চের অংশ ছিলেন। বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি তালওয়ান্ত সিংও। এখনও বিচারপতি মুরলীধর এই মামলার শুনানি করতে পারেননি। প্রাথমিকভাবে এই আবেদনটি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের সামনে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। আরও পড়ুন, রাজধানীর হিংসায় মৃতের সংখ্যা ছুঁল ২৮, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ল দিল্লির উত্তর পূর্বাংশ
বেঞ্চ দিল্লি পুলিশকে ঘৃণ্য বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষেত্রে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট তার নির্দেশে বলেছে যে চার জন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতার হিংসাত্বক বক্তব্য ছিল তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশকে পরীক্ষা করা উচিত। এদিকে এখনও উত্তপ্ত দিল্লি। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৮। আহত দুশোর বেশি। নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোকুলপুরীতে। গতকালই উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অজিত দোভালকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শন শুরু করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। দুপুরে পৌঁছে যান হিংসাগ্রস্ত মৌজপুরে। অলিগলিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) এসএন শ্রীবাস্তব।