নতুন দিল্লি, ৭ এপ্রিল: মঙ্গলবার ভারতে করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছালো ৪ হাজার ৪২১-এ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৪ জন। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশে মারণ রোগে মৃতের সংখ্যা ১১৪। সব থেকে সঙ্গীন অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। দিল্লির তবলিঘি জমাতের কারণে তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩৩। দিল্লিতে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী ৫৪৯ জন। দেশের মধ্যে প্রথম করোনার গ্রাসে যায় কেরালা। গত সপ্তাহ পর্যন্ত আক্রান্তের নিরিখে মহারাষ্ট্রের পরে কেরালারই নাম ছিল। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৭ জন। এরপরেই রয়েছে তেলেঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থান। যেখানে আক্রান্তের গড় সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে।
পাঞ্জাব, বিহার, অসম, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও ১০০ ছাড়ায়নি। ১০-এর নিচে আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে, মিজোরাম, মণিপুর, ত্রিপুরা, গোয়া, পুদুচেরি ও অরুণাচল প্রদেশে। করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। যদি হু হু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে তো এই লকডাউন আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও গত সপ্তাহে ক্যাবিনেট সচিব এই লকডাউন বৃদ্ধির বিষয়ে মুখ খোলেননি। যদিও বেশ কয়েকটি রাজ্য লকডাউন তুলতে অনীহা প্রকাশ করেছে। এবিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক পদস্থ কর্তা বলেছেন, ১৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন তুলে নেওয়াটা ঠিক হবে না। একইভাবে চিন্তিত হয়েছেন অসমের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেছেন, লকডাউন শিথিল হলে একমাত্র অচলাবস্থাই এই রোগকে রুখতে পারে। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বলেছেন, করোনা রুখতে দেশের হাতে একটাই ওষুধ লকডাউন বলবৎ করা। আরও পড়ুন-India Lifts Restrictions On 24 API: ট্রাম্পের হুমকিতে ওষুধ তৈরির ২৪টি উপাদান থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত, তালিকায় নেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও প্যারাসিটামল
Increase of 354 #COVID19 cases, 5 deaths in last 24 hours; India's positive cases rise to 4421 (including 3981 active cases, 325 cured/discharged/migrated people and 114 deaths): Ministry of Health and Family Welfare pic.twitter.com/OotvtHN18H
— ANI (@ANI) April 7, 2020
রাও বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী ও দেশের সরকারের কাছে আবেদন করছি, কোনওরকম ইতস্তত না করেই লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হোক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইটালি ও স্পেন এখন যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে তা থেকে ভারতকে বাঁচতে হলে ও সংক্রমণ রুখতে হলে লকডাউনই একমাত্র ওষুধ।”