প্যারাসিটামলের প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Maxi Pixel)

নতুন দিল্লি, ৭ এপ্রিল: বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিতেই গতমাসে বিভিন্ন জীবনদায়ী ওষুধের উপাদান রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত। কিন্তু রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের তরফে হুমকি বার্তা পাওয়ার পরে মঙ্গলবারই জেনেরিক ওষুও তৈরির ২৪টি উপাদানের (pharmaceutical ingredients) উপরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল কেন্দ্র। মহামারী করোনাকে রুখতে এই উপাদানগুলি এখন বিশ্বজুড়ে রপ্তানি করা যাবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির টেলিফোনিক বার্তার তিনদিনের মধ্যেই উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা। তবে ওষুধ তৈরির যেসব উপাদানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠেছে সেই তালিকায় কিন্তু ম্যালেরিয়া প্রতিরোধকারী হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন বাব্যথা নিরাময়কারী প্যারাসিটামল নেই। এই দুটি ওষুধই করোনা মোকাবিলায় জরুরি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ইতিমধ্যেই।

তবে এটাও সত্যি যে এই দুটি ওষুধের কোনওটাতেই করোনা নিরাময় হবে না। তাই কিওর হিসেবেও চিহ্নিত হয়নি। তবে মারণ রোগের উপসর্গ কমাতে এই দুটি ওষুধই প্রয়োজনীয়। কিছু করোনা আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে এই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। বেশ কয়েকটি চিকিৎসা সংস্থা এই তথ্যকে অনুমোদন করেছে। এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তথ্যানুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের নজর পড়েছে এই ম্যালেরিয়া প্রতিরোধকারী হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের উপরে। তারা এই ওষুধ দিয়ে মারণ ভাইরাসের কিওর তৈরি করতে চায়। ট্রাম্প বলেছেন, করোনা তাড়াতে মুখ্য ভূমিকা নিতে পারে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও অ্যাজিথ্রোমাইসিনের সংমিশ্রণ। আরও পড়ুন- Donald Trump Warns Narendra Modi: করোনা রুখতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানি না করলে বদলা নেওয়া হবে, মোদিকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

এদিকে আইসিএমআর জানিয়েছে, কিছু করোনাআক্রান্ত রোগীর উপসর্গ কমাতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রেসক্রাইব করতে পারেন চিকিৎসকরা। তবে তাকে কখনওই কোরনাভাইরাসের কিওর হিসেবে মানা যায় না। অন্যদিকে করোনা আক্রান্তদের জন্য সমান প্রয়োজনীয় ওষুধ হল প্যারাসিটামল। এই ওষুধেই আক্রান্তদের সারা শরীরের যন্ত্রণা ও মাথাব্যথা কমাবে। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর চেহারা নিলে গতমাসে ওষুধ তৈরির ২৪টি উপাদানের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র। এদিকে গোটা বিশ্বে জেনেরিক ওষুধ ও বিভিন্ন ওষুধ তৈরির উপাদানের এক নম্বর সরবরাহকারী হল দিল্লি। এদিকে গতমাসে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়াতে বিশ্বজুড়ে ওষুধ সরবরাহ প্রক্রিয়া দারুণভাবে প্রভাবিত হয়েছে।