পৌষ পূর্ণিমা এবং মকর সংক্রান্তি সফলভাবে সম্পন্ন করার পরে উত্তরপ্রদেশ সরকার চলতি জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখে মৌনি অমাবস্যায় আসন্ন অমৃত স্নানের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য, মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং এবং উত্তর প্রদেশের ডিজিপি প্রশান্ত কুমার প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং পরবর্তী প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক করেন। বৈঠকের পর মুখ্য সচিব উল্লেখ করে জানান যে উত্সবের প্রথম দিনগুলির সময় ব্যবস্থা এবং সুযোগ-সুবিধাগুলি প্রশংসনীয় ছিল তবে তাঁকে আরও ভালো করা যেতে পারে। সেই সকল প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট সকল সেক্টরগুলিতে দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন এবং ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ এবং সকল বিভাগের কর্মকর্তাদের সকল সেক্টরে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
মেলা এলাকার সুবিধাগুলি পর্যালোচনা করার সময়, মুখ্য সচিব প্রধান স্নান উত্সব এবং অমৃত স্নানের সময় বিরামহীন টেলিকম পরিষেবাগুলির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন যে মেলা এলাকায় টেলিকম পরিকাঠামো শক্তিশালী, যার ফলে ভক্তদের কখনই ফোন সংযোগ নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।এই মিলনক্ষেত্র সামাল দিতে ৪৪ দিন ধরে সেই ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহাকুম্ভনগরে প্রবেশের ৭ টি রাস্তায় ১০২টি চেক পয়েন্ট থাকছে। জমি এবং জল দুটি অংশেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে ১০০০ পুলিশ কর্মী রয়েছেন তার মধ্যে ৭১ জন ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক, ২৩৪ জন সাব ইন্সপেক্টর, ৬৪৫ জন কনস্টেবল ও ১১৩ জন হোমগার্ড। এছাড়া সাইবার ক্রাইম রুখতে ৪০ হাজার সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। সেই সঙ্গে আছে জঙ্গি দমন শাখা, এনএসজি, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী, ২,৭৫০ সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়া গঙ্গার সুরক্ষায় জল পুলিশ, এনডিআরএফ সহ রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলার বাহিনীও। এমনকি গঙ্গা- যমুনার তলাতেও রয়েছে ১১৩ টি ড্রোন।এই মহাকুম্ভ মেলাকে নির্মল ও স্বচ্ছতার লক্ষ্যে ১ লাখ ৪৫ হাজার শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বিলাসবহুল টেন্ট রয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার।
জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ থেকে শুরু হওয়া মহাকুম্ভ চলবে সেই শিবরাত্রি অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মঙ্গলবারে প্রথম অমৃত স্নান হওয়ার পর, ফের অমৃতস্নানের যোগ রয়েছে চলতি মাসের ২৯ তারিখ মৌনি অমাবস্যা, ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখে বসন্ত পঞ্চমী, ১২ তারিখ মাঘী পূর্ণিমা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রির দিনে।