নতুন দিল্লি, ১২ মার্চ: দাঁত নখ বের করে গোটা মানব সভ্যতাকে গিলে খেতে আসছে সিওভিআইডি-১৯। আগামী কয়েকদিনে পরিস্থিতি যে আরও কত ভয়াবহ হবে তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। বিপদের সম্ভাবনা কিছুটা কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই বিদেসে যাতায়াতের বিষয়টিতে কড়া নজর দিয়েছে। ভিসাও বাতিল হয়েছে। বিভিন্ন দেশ সীমান্ত সিল করেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে বাতিল হয়েছে বিমানও। মার্কিন রাষ্ট্রপতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ইউরোপীয়ানদের সেদেশে প্রবেশ বাতিল করেছেন। আপাতত একমাস ইউরোপের কেউ মার্কিন মুলুকে যেতে পারবেন না। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্বঅর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। বাদ গেল না টাকার (Indian Rupee) পতনও। মার্কিন ডলারের তুলনায় টাক দাম অনেকটাই পড়ে গেল বৃহস্পতিবার।
সকালে বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই শেয়ারবাজারে ধস নামে। এরপর নামতে নামতে ২৫০০ পয়েন্ট পড়ে যায় সেনসেক্স। নিফটি নেমে যায় ১০,০০০-এর নীচে। বিশ্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেও নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা যাচ্ছে না। একের পর এক দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এই মারণ ভাইরাস। এই রোগ বর্তমানে বিশ্বে প্যানডেমিক আকার নিয়েছে বলে বুধবার ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। সংক্রমণ বিস্তারের গতিতে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানায়। এই ঘোষণার পরই বিরাট পতন লক্ষ করা যায় শেয়ার বাজারে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মার্কিন ডলারে তুলনায় টাকার দাম ৮২ পয়সা পড়েছে। তার ফলে এক ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ৭৪.৫০ টাকা। আরও পড়ুন- Sensex Plunges Due To WHO Declares Coronavirus A Pandemic : করোনাভাইরাস মহামারী, হু-এর ঘোষণার ঘায়ে কুপোকাত শেয়ার বাজার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন আগামী ৩০ দিনের জন্য ইউরোপ থেকে আমেরিকা আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। যে হারে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে, তা আটকানোর জন্যে এই পদক্ষেপই করা উচিত বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর এই ঘোষণার পরই বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছে বিশ্ববাজার। দেশের বাজারও ৩০ মাসে সর্বনিম্ন হয়েছে। সকালে বাজার খুলতেই ১৮০০-রও বেশি পয়েন্ট পড়ে যায় BSE Sensex-এর সূচক। সূচক ৫% পড়ে নেমে যায় ৩৩,৮৭৬-এ। নিফটির সূচক ৫২০ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়ায় ৯,৯৩৯-এ। সেনসেক্সে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখ দেখেছে টাটা স্টিল, অ্যাক্সিস ব্যাংক, ONGC, SBI, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা ও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। তাদের স্টক প্রায় ৮.৯৭% কমে গিয়েছে।