নতুন দিল্লি, ২৫ সেপ্টেম্বর: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) দুই দেশ যাতে অস্ত্র সামলে চলে, নিষ্ক্রিয় থাকে। সেই লক্ষ্যে ব্রিগেডিয়ার পর্যায়ের বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও চিন। ঠিক তার আগেভাগেই প্যাংগং লেকের দক্ষিণ তীর থেকে ভারত যেন সরে যায়, এনিয়ে রীতিতো তাড়া দিতে শুরু করেছে চিন। এদিকে আগেই কর্পস কম্যান্ডার স্তরের বৈঠকের সময় চিন ভারতকে জানিয়েছিল, পূর্ব লাদাখে অস্ত্রবিরতি সম্পর্কে কোনও আলোচনা ওই বৈঠকে হবে না। কেননা ভারত চিন সম্প্রকে কৌশলগত অবস্থান বদল করতেই গত চারমাস ধরে প্রকৃত নিয়্ন্ত্রণরেখার দুই পারে সেনাবাহিনীই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। প্যাংগং লেকের দক্ষিণ তীরে ভারতীয় সেনা ভাল অবস্থায় থাকলেও চিনের লালফৌজ পরিস্থিতি সমাধানে অনড়।
সম্প্রতি ভারত ও চিনের সেনা কমান্ডার স্তরে ষষ্ঠ রাউন্ডের বৈঠক শেষ হয়েছে। সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এদিন বলেন, “আগামী দিনে শান্তি কায়েমের পথ একটাই। সংঘাত কমাতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া। এবং লাদাখে যে সব জায়গায় দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়েছে, সেখানে ধীরে ধীরে সেনা মোতায়েন কমানো।” কিন্তু ব্যাপারটা যে সেদিকে যাচ্ছে না সেই আশঙ্কা কূটনীতিক ও কৌশলগত বিশেষজ্ঞদের মধ্যে চেপে বসছে। বরং তাঁদের অনেকেরই ধারনা শীত পড়ার অপেক্ষা করছে বেজিং। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অঞ্চলে শীতে প্রকট ঠাণ্ডা থাকে। তাপমাত্রা শূন্যের অনেক নিচে নেমে যায়। সেই সময়ে পায়ে পা দিয়ে ফের ঝগড়া বাধাতে পারে চিনা সেনা। ভারতীয় সেনা গোয়েন্দাদের কাছে খবর, লাদাখ সীমান্তে অন্তত ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চিন। সেই সঙ্গে মিসাইল সিস্টেম, ট্যাঙ্ক এবং প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করেছে। আরও পড়ুন-Recycled Condoms: ব্যবহৃত কন্ডোম ধুয়ে শুকিয়ে ফের বিক্রি? ভিয়েতনামে ধরা পড়ল আনকোরা জালিয়াতি
সাউথ ব্লকের এক সেনা কর্তা বলেন, দুই দেশের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছিল তাতে লাদাখ সীমান্তে প্রতিটি টহলদারি বাহিনীতে ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি জওয়ান থাকার কথা নয়। কিন্তু শর্ত ভেঙে পিএলএ জওয়ানরা এক সঙ্গে অনেকে মিলে চলে আসছে। তার পর ভারতীয় টহলদারি বাহিনীর উপর হামলা চালাচ্ছে। লাঠি, পাথর, পেরেক লাগানো মুগুর দিয়ে প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে তারা। গত জুন মাসে ও পরে অগস্টের শেষে এই ভাবেই তারা হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এ বার তা করতে গেলে গুলি দিয়ে জবাব দেবে ভারতীয় বাহিনী।