প্রতীকি ছবি

দিল্লি, ১৮ জুন: করোনার (Corona) ভয়ঙ্কর প্রজাতি ডেল্টার দাপটে যখন গোটা ভারত বিধ্বস্ত, তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা ছড়াল বিশেষজ্ঞদের মাঝে। চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় (Corona Third Wave) ঢেউ। মারণ ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় কিছুটা কম হলেও, তার প্রভাব পড়বে কয়েক মাস ধরে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জেরে শিশুরাও আক্রান্ত হতে পারে বলে করা হচ্ছে আশঙ্কা।

তবে  আরও বেশি করে করোনার টিকাকরণ (Corona Vaccination) করা হলে, তবেই করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখে দেওয়া সম্ভব বলে জানান এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। টিকাকরণের পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধ মাত্রাও ক্রমশ বাড়াতে হবে বলে জানান এইমসের ডিরেক্টর। শরীরে রোগ প্রতিরোধের মাত্রা  যত বাড়বে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণের প্রবণতা তত কমবে বলেও জানানো হয় বিশেষজ্ঞদের তরফে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে, তাতে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা যেমন আক্রান্ত হবেন, তেমনি শিশুদের সংক্রণের প্রবণতাও রয়েছে।

আরও পড়ুন: Mahua Moitra: 'আঙ্কলজি মিটস দাদু', ধনখড়ের দিল্লি যাত্রা নিয়ে ফের কটাক্ষ মহুয়ার

এদিকে করোনার (COVID 19) তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে শিশুদের কীভাবে রক্ষা করা যায়, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কেন্দ্রের পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, দিল্লির মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যও শিশুদের চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) আগামী ২-৪ মাসের মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সে রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে শিশুদের কীভাবে ক্ষা করা যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।