প্রতীকী ছবি (Photo Credits: PTI)

অযোধ্যা, ৮ নভেম্বর: অযোধ্যা (Ayodhya) মামলা নিয়ে গোটা দেশে হইচই পড়েছে। এমতাবস্থায় সেই অযোধ্যায় কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া। দুমাস আগে মৃত্যু হয়েছে মা ও দিদির। এতদিন ধরে সেই মৃতদেহের সহ্গেই থাকছিলেন দীপা শ্রীবাস্তব নামের এক তরুণী। বৃহস্পতিবার সেই বাড়ি থেকে তীব্র পচা গন্ধে অতিষ্ট হয়েই পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে দেখে এক তরুণী দুটি কঙ্কালসার মৃতদেহের পাশে শুয়ে ঘুমোচ্ছেন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতলে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মূলত খুনের কারণ নির্ধারণের জন্যই ময়নাতদন্ত করা হবে।

জানা গিয়েছে, ওই বাড়ি প্রাক্তন সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট বীজেন্দ্র শ্রীবাস্তবের (former sub-divisional magistrate Vijendra Srivastava)। দীপা তাঁর ছোট মেয়ে। ১৯৯০ সালে বীজেন্দ্রবাবুর মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই তিন মেয়ে রূপালী, ভিভা ও দীপাকে নিয়েই সংসার বীজেন্দ্র শ্রীবাস্তবের স্ত্রী পুষ্পাদেবীর। এর কয়েক বছর পর বড় মেয়ে রূপালীর মৃত্যু হয়। তারপর থেকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাক্যালাপ বন্ধ করে দিয়েছিল পরিবারটি। দুই মেয়েকে নিয়ে একেবারে ঘর থেকে বেরোতেন না তিনি। প্রতিবেশীরা দীর্ঘদিন তাঁদের কাউকেই দেখতে পাননি। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার আদর্শনগরের (Adarsh Nagar colony) এই ঘটনায় শিউরে উঠছেন প্রতিবেশীরা। এলাকাটি দেবকালী থানার অন্তর্ভুক্ত। আরও পড়ুন-Ramjanmabhoomi-Babri Masjid Case Verdict: বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার রায়কে ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়েছে অযোধ্যা, রায়ের আগে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান বিচারপতি

শুক্রবার থানার তরফে সার্কেল অফিসার অরবিন্দ চৌরাশিয়া সাংবাদিকদের বলেন, দিদি রূপালির মৃত্যুতে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিলেন ভিভা ও দীপা। পুষ্পা শ্রীবাস্তব তাই মেয়েদের বাড়ির বাইরে বের করতেন না। দুমাস আগে দিদি ভিভা ও মা পুষ্পা শ্রীবাস্তবের মৃত্যু হয়। তাই সেই ঘটনাও কেউ জানতে পারেননি। বাইরের কেউ বা কোনও আত্মীয় পরিজন এই পরিবারটির সঙ্গে দেখা করতে আসতেন না। এই দুমাস ধরে দিদি ও মায়ের মৃতদেহের সঙ্গে থাকছিলেন দীপা। এদিকে কালের নিয়মে তাঁদের দেহে পচন ধরে কঙ্কাল বেরিয়ে পড়ে। গন্ধের চোটে প্রতিবেশীদের অন্নপ্রাশনের ভাত উঠে আসছিল। তাই গতকাল পুলিশে খবর দেওয়া হয়। আপাতত দীপা শ্রীবাস্তব হাসপাতলে আছেন। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে সুস্থতার সার্টিফিকেট দিলে মানসিক হাসপাতাল বা কোনও সরকারি হোমে তাঁর ঠিকানা হবে।