Photo Credits: Wikimedia Commons

আক্কেল  দাঁতের অনুপস্থিতি ধর্ষণ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তির বয়স প্রমাণ করার জন্য চূড়ান্ত প্রমাণ নয়, গত সপ্তাহে বম্বে হাইকোর্ট যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন (POCSO Act)এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত একজনকে মুক্তি (মাহেরবান হাসান বাবু খান বনাম মহারাষ্ট্র রাজ্য)দেওয়ার সময় তাঁর পর্যবেক্ষণে তা জানিয়েছে। আদালত বলেছে গড় ছেলে বা মেয়ে বয়ঃসন্ধিকালে যখন পৌঁছায় আক্কেল দাঁত ব্যতীত সমস্ত দাঁতই তাঁর তৈরি হয়ে যায়। তবে ১৭ থেকে ২৫ বছর বয়সের মধ্যে আক্কেল দাঁত দেখা যায়, তাই আক্কেল দাঁতের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি প্রমাণ করে না যে ব্যক্তির বয়স ১৮ বছরের কম।

একটি মামলার রায় দানের সময়  বিচারপতি অনুজা প্রভুদেসাই উল্লেখ করেছেন যে রায়গড় জেলার বিশেষ আদালত, অভিযুক্তকে ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯-এ দোষী সাব্যস্ত করার সময়, দাঁতের ডাক্তারের সাক্ষ্যের উপর নির্ভর করেছিল, যিনি ধর্ষণের শিকার হওয়া মহিলাটির ক্লিনিক্যাল এবং রেডিওগ্রাফিকভাবে পরীক্ষা করেছিলেন, তার বয়স নির্ণয় করতে।তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে তিনি আক্কেল দাঁত অর্থাৎ তৃতীয় মোলারটি লক্ষ্য করেননি এবং এর ভিত্তিতে অভিমত দিয়েছেন তা অনুযায়ী মেয়েটির বয়স আনুমানিক ১৫ থেকে ১৭ বছর। তবে পরবর্তীতে জেরায় দন্তচিকিৎসক অবশ্য স্বীকার করেছেন যে ১৮ বছর বয়সের পরে যে কোনও সময় আক্কেল দাঁত ফেটে যেতে পারে। সেই কারণেই বিচারক এই কথার উল্লেখ করেছেন।

বিচারপতি প্রভুদেসাই  চিকিৎসা আইনশাস্ত্রের উল্লেখ করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে যে দ্বিতীয় মোলার ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে ফুটে ওঠে যেখানে তৃতীয় মোলার (আক্কেল দাঁত) ১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে ফুটে ওঠে।