Govt Action On Unsafe Protein Powders-Dietary Supplements: অনিরাপদ প্রোটিন পাউডার, ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট বিক্রির বিরুদ্ধে ৪০ হাজারের বেশি মামলা, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
Protein Powder (Representational Image) (Photo Credit: Kim Somm/ Twitter)

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ সালে বাজারে বিক্রি হওয়া অনিরাপদ প্রোটিন পাউডার ও ডায়েটারি সাপ্লিমেন্টের নমুনার বিরুদ্ধে ৪০ হাজারেরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ মনসুখ মান্ডভিয়া লোকসভায় একটি প্রশ্নের জবাবে দেশে অনিরাপদ খাদ্য সম্পূরক (Dietary Supplements) এবং প্রোটিন পাউডার বিক্রির বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপের কথা জানান। বাজারে প্রোটিন পাউডার ও ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট বিক্রি এবং অনিরাপদ পণ্য বিক্রি করা ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে জবাবে ডাঃ মান্ডভিয়া জানান, ২০২২-২৩ সালে খাদ্যতালিকায় থাকা সাপ্লিমেন্ট ও প্রোটিন পাউডার-সহ খাদ্যের নমুনা যাচাই না-করা ৩৮,০৫৩টি দেওয়ানি মামলা এবং ৪,৮১৭টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২০২১-২২ সালে দেশে মোট দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৯০৬টি। Supreme Court On Gyanvapi Mosque Survey: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ স্থগিতাদেশের আর্জি, কাটল জ্ঞানবাপী মসজিদে জরিপ নিয়ে জটিলতা!

খাদ্য সুরক্ষা ও মান (এফএসএস) আইন, ২০০৬-এর অধীনে খাদ্যের মান পরীক্ষা করার দায়িত্ব মূলত রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সরকারগুলির। মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারগুলোও নীতি পালন নিশ্চিত করতে নজরদারি, পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন কার্যক্রম শুরু করে। প্রোটিন পাউডার, ডায়েটারি সাপ্লিমেন্টের মতো খাদ্য সামগ্রীর নমুনা পরীক্ষার জন্য এফএসএসএআই-এর স্বীকৃত ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। যেসব ক্ষেত্রে নমুনা এফএসএসএআই-এর খাদ্য সুরক্ষা মানদন্ডে মানা হয় না, সেক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

চলতি বছরের মার্চ মাসে, এফএসএসএআই সমস্ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং রাজ্যগুলির খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনার এবং কেন্দ্রীয় লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের বাজারে বিক্রি হওয়া নিয়ম-বিধি মেনে চলে না নিউট্রাসিউটিক্যাল / স্বাস্থ্য সাপ্লিমেন্টস পণ্যগুলির জন্য বিশেষ প্রয়োগ অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল। অভিযানে সারা ভারতে ১ হাজার ৩২৬টি নমুনা নেওয়া হয়, যার মধ্যে ১ হাজার ২২৯টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এফএসএসএআই-এর কাছ থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২টি নমুনায় সংশ্লিষ্ট খাদ্য পণ্যের মান মানা হয়নি এবং এফএসএস আইনের আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।