জম্মু-কাশ্মীরে ক্রমশ বাড়ছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। বিশেষ করে রাজৌরি (Rajouri), পুঞ্চের (Poonch) মতো এলাকায় প্রায়শই জঙ্গলগুলিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনাগুলি তদন্ত করে দেখা গিয়েছে, কিছু ঘটনা অবশ্যই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দাবানলের মতো ঘটনা ঘটছে। তবে বেশকিছু ঘটনা মানুষরাও ঘটাচ্ছে। অর্থাৎ মানুষই ইচ্ছাকৃতভাবে জঙ্গলে আগুন লাগাচ্ছে। কারণ স্থানীয়দের বিশ্বাস গরমে মরা ঘাসে আগুন লাগালে আগামীদিনে ভালো ঘাস জন্মাবে। আর এই কুসংঙ্কারের কারণে মৃত্যু হচ্ছে অসংখ্য জীবজন্তুর। এই নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে জম্মুু-কাশ্মীরের বনবিভাগ। আর সেই কারণে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
রাজৌরি পশ্চিমের বন সংরক্ষণ বিভাগের আধিকারিক সন্দীপ কুমার জানিয়েছেন, "তাপমাত্রা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। আর সেই কারণে অধিকাংশ সময়ে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিনই প্রায় ৮ থেকে ১০টি এরকম ঘটনা ঘটেছে। রাজৌরিতেই এখনও পর্যন্ত ৮০টির বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ইদানিং এলওসি-র কাছে আগুন লাগছে। তখন দুই দেশের নিরাপত্তা এজেন্সি আলোচনা করে অগ্নি নির্বাপনের কাজ করে। এই ক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দা অবশ্যই সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। তবে আমরা তদন্ত করে জানতে পেরেছি, অনেকক্ষেত্রে মানুষই জঙ্গলে আগুন লাগাচ্ছে"।
#WATCH | Rajouri, Jammu & Kashmir | Conservator of Forests, West Circle Rajouri, Sandeep Kumar says, "...The temperature is rising... That's why the incidents of forest fires have increased. On average, 8-10 incidents are happening daily. We have registered more than 80 such… https://t.co/ULx3BKbo02 pic.twitter.com/eMZtmIPUnw
— ANI (@ANI) June 14, 2024
তিনি আরও বলেন, "এখানকার স্থানীয়দের মধ্যে ঘাসে আগুন লাগানোর সংস্কৃতি রয়েছে। এতে তাঁদের বিশ্বাস যে পরবর্তীকালে ওই এলাকার জমি উর্বর হবে এবং ঘাস ভালো হবে। কিন্তু এসব নিয়মে কোনও লাভ হয় না। বরং এতে বন্যপ্রাণীদের মৃত্যুই হয়। অনেকে পালাতে না পেরে আগুনে মারা যায়। এটা খুবই বেদনাদায়ক একটি ঘটনা। অবলা প্রাণীদের মেরে ফেলা কোনও ধর্মই প্রাধাণ্য দেয় না। তাই এই ধরণের ঘটনা না ঘটানোই ভালো। এরপরেও যদি কেউ জঙ্গলে আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটাতে আসে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে বন দফতর ও স্থানীয় পুলিশ"।