নতুন দিল্লি, ৮ ডিসেম্বর: চলতি বছরে তিনটি কৃষি আইনের প্রবর্তন করেছে কেন্দ্র। এই আইনগুলির বিরোধিতায় প্রায় ২সপ্তাহ ধরে আন্দোলেন নেমেছেন কৃষকরা। সেই আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত ভারত বনধের (Bharat Bandh) ডাক দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে বহু রাজনৈতিক দল এবং দশটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম। কংগ্রেস, ডিএমকে, টিআরএস ও আম আদমি পার্টি এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে। তাদের সমর্থকরা বনধে অংশ নেবে, এমন তথ্য ও প্রকাশ হয়েছে। সংসদে কৃষি আইনের বিরোধিতার পুরোভাগে থাকলেও ভারত বনধে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: আশা জাগিয়ে দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী, ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়ালো ৯৭ লাখ
পাঞ্জাব:
আজ হরিয়ানা দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এই সীমান্তে কৃষক আন্দোলন ১৩ দিনে পড়ল। শিখ গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির তরফেও এই বনধকে সম্পূর্ণ করার প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছে। আজকের এই ভারত বনধ পাঞ্জাবে দারুণভাবে সাড়া ফেলবে। দিল্লির ট্যাক্সি ইউনিয়ন কৃষকদের ডাকা ভারত বনধকে সমর্থন করলেও মুম্বইয়ের ট্যাক্সি ইউনিয়ন পরিষেবা চালু রাখার কথা বলেছে। একই সঙ্গে বেস্ট বাস পরিষেবা দিনভর অব্যাহত থাকবে।
তেলেঙ্গানা:
তেলেঙ্গানা কামারেড্ডি এলাকার পরিবহন দপ্তরের কর্মীরা কৃষকদের ডাকা ভারত বনধকে সমর্থন করেছেন। এই প্রসঙ্গে এক বাসচালক বলেছেন, “কৃষি আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে আছি। চলছে প্রতিবাদ। কৃষকদের প্রতি অবিচার হওয়া উচিত নয়।”
Telangana: Road Transport Corporation workers in Kamareddy extend their support to #BharatBandh by farmer unions.
A bus driver says, "CM raised his voice against Farm laws. Going with him, we the workers of RTC are protesting here. Farmers should not be subjected to injustice." pic.twitter.com/b7agzw9prA
— ANI (@ANI) December 8, 2020
পশ্চিমবঙ্গ:
ভারত বনধের সমর্থনে পশ্চিমবঙ্গের বাম দলগুলি পথে নেমেছে। যাদবপুর রেলস্টেশনে লাইনের উপরে বসে পড়েছেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। ট্রেন থামিয়ে চলছে বনধ পালন। সঙ্গে সরকারি বাস ও গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে শহরের রাস্তায়। নীতির পরিপন্থী বলে সরাসরি বনধকে সমর্থন করেনি তৃণমূল। তবে কৃষকদের আন্দোলনে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সরাসরি বনধের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন বাম-কংগ্রেস।
West Bengal: Left political parties protest on the railway tracks at Jadabpur Railway Station in Kolkata & stop a train, in support of today's #BharatBandh by farmer unions. pic.twitter.com/7Kn6avKGGM
— ANI (@ANI) December 8, 2020
অন্ধ্রপ্রদেশ:
কৃষক সংগঠনের ডাকা বনধের সমর্থনে বাম দলগুলির কর্মী সমর্থকরা অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগরম জেলার পার্বতীপুরমে রাস্তায় বসে পড়ে বনধ পালন করছেন।
Andhra Pradesh: Left political parties protest in Parvathipuram of Vizianagaram district, in support of the #BharatBandh called by farmers unions, against Central Government's #FarmLaws. pic.twitter.com/YHr6XnyP2k
— ANI (@ANI) December 8, 2020
ওড়িশা:
ভুবনেশ্বর স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে বনধ পালনে উদ্যোগী হয়েছেন বাম রাজনৈতিক দল, শ্রমিক সংগঠন ও কৃষক সংগঠনের কর্মীরা।
Odisha: Left political parties, trade unions and farmer unions stop trains at Bhubaneswar Railway Station.
Farmer Unions have called #BharatBandh today, over Centre's #FarmLaws. pic.twitter.com/C63X69FSlE
— ANI (@ANI) December 8, 2020
প্রায় তিন মাস ধরে বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন কৃষকরা। প্রথমে পাঞ্জাবের মধ্যেই আন্দোলন সীমাবদ্ধ ছিল। সপ্তাহ দুয়েক আগে তা এসে পৌঁছয়ে রাজধানীতে। দিল্লি-পঞ্জাব এবং দিল্লি-হরিয়ানা সীমানাতেও অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক। উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ থেকেও দলে দলে কৃষক এসে তাতে যোগ দিয়েছেন।বিক্ষোভ ঠেকাতে লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে জলকামান, কোনও কিছুই বাদ রাখেনি পুলিশ। দিল্লির ঠান্ডার মধ্যেও সে সব হজম করে গিয়েছেন কৃষকরা। পুলিশের মোকাবিলা করতে গিয়ে কখনও আন্দোলন হিংসাত্মক আকার ধারণ করেনি। তাই বন্ধ কর্মসূচিকে ঘিরে যাতে কোনও রকম অশান্তি দানা না বাঁধে, সে ব্যাপারে সচেতন তাঁরা।