প্রণব মুখার্জি(Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ৩১ আগস্ট: ফের আশঙ্কাজনক প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির (Pranab Mukherjee) শারীরিক অবস্থা। রবিবারের তুলনায় প্রণববাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটল, সোমবার মেডিক্যাল বুলেটিনে এই তথ্যই জানিয়েছে দিল্লির সেনা হাসপাতাল। ফুসফুসের সংক্রমণের জেরে সেপটিক শকে রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বরাবরের মতোই ভেন্টিলেশন সাপোর্টে গভীর কোমায় আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন। ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। মোটামুটি রবিবার থেকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। রক্তচাপও খুব কম। এর আগে গত বুধবারের বুলেটিনে সেনা হাসপাতাল জানায়, প্রণববাবুর রেনাল প্যারামিটারে কিছু বদল হয়েছে।

প্রণব মুখার্জির শারীরিক অবস্থা উদ্বেগজনক

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই রেনাল প্যারামিটার বলতে বোঝায়, শরীরে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ইউরিক অ্যাসিড প্রভৃতির মাত্রা। এইসব উপাদানের মাত্রায় বদল হলে তার জেরে শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেই সমস্যার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির। কিন্তু তারপরেই এবার তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণ আরও বাড়ল। প্রণববাবু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাঁর বাড়ি বীরভূমের কীর্ণাহারে শুরু হয়েছে যজ্ঞ ও পুজো। তিনি সুস্থ না হয়ে ওঠা পর্যন্ত এই প্রার্থনা চলবে বলেই জানিয়েছেন তাঁর পরিবার ও গ্রামের মানুষ। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা করেছেন অনেকেই। দিল্লির রাজাজি মার্গের বাড়ির বাথরুমে অচৈতন্য হয়ে পড়ে যান তিনি। মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। সেটির অপারেশনের জন্য গত ১০ আগস্ট দিল্লির আর্মি রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেল হাসপাতালে ভর্তি হন ৮৪ বছরের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ১ দিনে সংক্রামিত ৭৮ হাজার ৫১২ জন, ৩৬ লাখ ছাড়ালো ভারতের কোভিড রোগীর সংখ্যা

জানা যায়, খুব শিগির মাথায় জমা রক্তের ক্লটও বের করতে হবে। সেই সময় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে তাঁর। অস্ত্রোপচারের পরেই ৭২ ঘণ্টা ভেন্টিলেশনে থাকার পরও প্রণব মুখার্জির জ্ঞান ফেরেনি। তিনি গভীর কোমায় চলে যান। এরপরেই তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা দেখে বেজায় বিরক্ত প্রণবাবুর ছেলে অভিজিৎ মুখার্জি ও মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি। দু’জনেই সাংবাদিকদের একহাত নেন। অভিজিৎবাবু বলেন, ভারত ভুয়ো খবরের কারখানায় পরিণত হয়েছে। যদিও তারপর থেকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার কোনওরকম উন্নতি ঘটেনি। রবিবার রাত থেকে সেপটিক শকের দরুণ ফুসফুসের সংক্রমণ বাড়ায় পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক।