নতুন দিল্লি, ৬ জানুয়ারি: আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ ফুরোচ্ছে। তাই নতুন বছরের শুরুতেই রাজধানীর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের (Delhi Assembly Election) নির্ঘণ্ট স্থির হয়ে গেল। সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন মুখ্যনির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা (Chief Election Commissioner Sunil Arora)। রাজধানীতে বিধানসভা আসন ৭০টি, তাই একটি দফাতেই হচ্ছে ভোট। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন। ফল ঘোষণা হবে ১১ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচন কমিশনারের সাংবাদিক বৈঠকের পরই টুইট করেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বলেন, 'এবারের নির্বাচন কাজের ভিত্তিতে হবে।'
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭টি আসন জিতে নেয় কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। তিনটি আসন পায় বিজেপি। শূন্যহাতে ফিরতে হয় একদা ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে। এদিকে কেজরিওয়ালের টুইটের পরে পরেই জনতা জনার্দনকে মুঠোবন্দি করতে আসরে নামে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, আশাকরি রাজধানীর বাসিন্দারা তাঁদের অমূল্য ভোটটি বিজেপিকেই দেবেন। অন্যদিকে মুখ্যনির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়েছেন, চলতি মাসের ১৪ জানুয়ারি বিধানসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন নির্ধারিত হয়েছে ২১ জানুয়ারি। পরের দিন ২২ জানুয়ারি হবে মনোনয়ন বাছাই পর্ব। ২৪ জানুয়ারির মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হবে। ফলাফল প্রকাশিত হলে ২২ ফেব্রুয়ারির আগেই বিজয়ী দলকে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে মমতা ব্যানার্জিকে সরিয়ে দিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর, সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল
ये चुनाव काम पर होगा
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) January 6, 2020
এদিকে লোকসভায় ৩০০-র বেশি আসন পাওয়ার পরও রাজ্যগুলির ভোটে বিশেষ ভাল ফল হয়নি বিজেপির। হরিয়ানায় একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি পদ্মশিবির। হারাতে হয়েছে মহারাষ্ট্রীর মসনদ। ডিসেম্বরে ঝাড়খণ্ড ভোটেও ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। সেদিক থেকে দিল্লির ভোট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকে। যদিও সিএএ ইস্যুতে উত্তাল দেশ, রাজধানীতে সংশোধিত আইন বিরোধী বিক্ষোভে কেন্দ্রের পদক্ষেপ ক্ষুব্ধ দেশের জনতা। এই পরিস্থিতিতে কেজরিওয়াল নাকি পদ্মশিবির রাজধানীর রাজপাট কার দখলে যাবে তানিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।