নয়াদিল্লি: স্বামীর কাছ থেকে মাসিক ৫০ হাজার টাকা খোরপোষের (interim Monetary Relief) দাবি জানিয়ে দিল্লির একটি আদালতে (Delhi Court) আবেদন (Application) জানিয়ে ছিলেন এক মহিলা। গার্হস্থ্য নির্যাতন আইনের (Domestic Violence Act) অধীনে ওই আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু, তাঁর সেই আবেদন খারিজ (Rejects) করে দিল দিল্লির একটি আদালত। এই সম্পর্কে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ওই মহিলা উচ্চশিক্ষিত (Highly qualified) এবং নিজের ভরণপোষণের জন্য রোজগারের রাস্তা খুঁজে নিতে সক্ষম (Capable of Finding A source of Income)। তাই তাঁর খোরপোশ পাওয়ার আবেদন যদি অনুমোদন করা হয় তাহলে সেটা স্বামীর উপর অযথা ও অন্যায় ভাবে চাপ দেওয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
দিল্লির মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট (Metropolitan Magistrate) স্বয়মসিদ্ধা ত্রিপাঠীর এজলাসে ওই মহিলার প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে খোরপোষের আবেদনের শুনানি চলছিল। বিচারক সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর জানান, অভিযোগকারিণী একজন উচ্চশিক্ষিত মহিলা ও নিজের ভরণপোষণের জন্য রোজগারের রাস্তা খুঁজে নিতে সক্ষম। তাঁর খোরপোষের আবেদনে তখনই অনুমোদন দেওয়া হত যদি তিনি শুধুমাত্র স্বামীর রোজগারের উপরই নির্ভরশীল থাকতেন। কিন্তু, এক্ষেত্রে সেটি প্রযোজ্য নয়। তাই তাঁর রোজগার করার যোগ্যতার থাকার জন্য স্বামীর কাছ থেকে খোরপোষ নেওয়ার আবেদনটিকে অনুমোদন দিতে পারি না।
আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, স্ত্রীর যদি রোজগার বা ভরণপোষণের কোনও উপায় না থাকে। তাহলেই একমাত্র তাঁর বেঁচে থাকা ও প্রয়োজনীয়তার জন্য স্বামীকে ভরণপোষণের জন্য খোরপোষ দিতে বাধ্য করা যায়। সেক্ষেত্রে দেখতে হবে যে স্বামী যা রোজগার করে তা থেকে তিনি খুব ভালো জীবনযাপন করছেন। সেখানে স্ত্রী স্বামীর বাড়িতে থাকাকালীন যেভাবে জীবনযাপন করতেন তা বিবাহ বিচ্ছেদের পর আর করতে পারছেন না। আরও পড়ুন: Gurugram: ২ টি ভিন্ন ঘটনায় বাস ও কারখানা পুড়ে ছাই গুরুগ্রামে