আলোর উৎসব দীপাবলী ও কালীপূজার আগে আবারও বাংলার আকাশে দুর্যোগের অশনি সংকেত। এবার ঘূর্ণিঝড়ের অশনি সংকেত কালীপুজোর (kali Puja 2024) আগে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আগামীকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে সাম্প্রতিক আইএমডি বুলেটিনে আজ জানানো হয়েছে।বঙ্গোপসাগরে আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ডানার কারণে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা অর্থাৎ পূর্ব ও পশ্চিম এবং মেদিনীপুর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আবহাওয়া আজ সকাল থেকেই বদলাচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। বুধবার ভারী বৃষ্টির হলুদ সর্তকতা জারি হয়েছে। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি হওয়া অফিসের।
ঘূর্ণিঝড় ডানা সংক্রান্ত সকাল ৫টা ৩০ মিনিটে প্রকাশিত সেই আপডেটে বলা হয়েছে- “পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর গতকালের চিহ্নিত নিম্নচাপ এলাকাটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে আজ (২২অক্টোবর) ভারতীয় সময় সকাল ৫টা ৩০ মিনিটে অক্ষাংশ 15.4° N এবং দ্রাঘিমাংশ 91.2°E এর কাছাকাছি অঞ্চলে নিম্নচাপে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। এই মুহুর্তে সেই নিম্নচাপটি পারাদ্বীপ (ওড়িশা) থেকে প্রায় ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, সাগর দ্বীপ (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং খেপুপাড়া (বাংলাদেশ) থেকে ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। "
আবহাওয়া দফতরের অনুমান, এই নিম্নচাপটি আজ সারাদিনে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে ঘনীভূত হতে পারে। তারপরে আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকলে, এটি ২৪ তারিখ সকালের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আশা করা হচ্ছে ২৪ অক্টোবর রাত এবং ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে পুরী ও সাগর দ্বীপের মধ্যে ১০০-১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় হাওয়ার বেগে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
ওড়িশার রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পূজারি তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের ২৩ অক্টোবরের আগে পুরী ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় ডানার সম্ভাব্য স্থলভাগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ ও ২৫ অক্টোবর 'পবিত্র শহর' পুরীতে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।