Crocodile Held Hostage By UP Villagers: কুমির 'আটকে' রেখে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি গ্রামবাসীদের!
কুমির (Photo Credits: IANS)

বরেলি,১১ সেপ্টেম্বর: গ্রামে ঢুকে পড়েছে কুমির (Crocodile)। উদ্ধার করে নিয়ে যেতে হলে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা। বন বিভাগের কাছে এমনই আজব আবদার করে উত্তরপ্রদেশের মিদানিয়া (Midania) গ্রামের বাসিন্দাদের। তিন দিন আগে দুধওয়া টাইগার রিজার্ভের (Dudhwa Tiger Reserve) বাফার অরণ্যের ঠিক পাশে একটি গ্রামে কুমির ঢুকে পড়ে। সম্ভবত বন্যার জলে সেটি ভেসে আসে। গ্রামেরই একটি পুকুরে কুমিরটিকে সাঁতার কাটতে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হলেও পরে তাতে বদল আসে। গ্রামবাসীদের মনে হয়, কুমিরটিকে আটকে রাখলে কেমন হয়। আর বদলে টাকার দাবি করা যেতে পারে। যেমন ভাবা তেমনি কাজ।

রিজার্ভের বাফার অঞ্চলের আধিকারিক অনিল প্যাটেল বলেছেন, কুমিরটি আমাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তারা ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিল। তারা বলেছিল যে কুমিরটিকে উদ্ধার করার জন্য এটা তাদের প্রাপ্য। অবশেষে কুমিরকে দখলমুক্ত করতে পুলিশ ডাকতে হয় ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে হয়। এরপরই গ্রামবাসীরা কুমির ছেড়ে দেয়। আরও পড়ুন: Supreme Court Notice To West Bengal: আয়ুষ্মান ভারত বাস্তবায়ন না হওয়াতে মামলা, পশ্চিমবঙ্গ সহ ৪ রাজ্যকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

অনিল আরও জানান, মিদানিয়া গ্রাম থেকে তারা খবর পায় যে একটি বড় কুমির গ্রামের পুকুরে দেখা গেছে। তাই বন বিভাগ কুমিরটি উদ্ধারের জন্য রেঞ্জার অনিল শাহের নেতৃত্বে একটি দল পাঠায়। রাত হয়ে গেলে কুমিরের খোঁজ বন্ধ রাখা হয়। তবে বুধবার সকাল ৯ টার দিকে আরও খবর আসে যে গ্রামবাসীরা কুমিরটিকে উদ্ধার করেছে। শাহ সেখানে পৌঁছে দেখেন বিক্ষোভ চলছে, গ্রামবাসীরা মুক্তিপণের দাবি করছে। তাদের দাবি, কুমিরটিকে উদ্ধারের জন্য তারা পুকুরের জল সরিয়েছে, কুমিরটিকে ধরে বেঁধে রেখেছে। বন বিভাগের কাজ ওরাই করেছে। অন্তত ১৫ জন উদ্ধারকাজে যুক্ত ছিল। গ্রামের প্রধান শর্মা প্রসাদ এই সংক্রান্ত একটি তালিকাও দিয়েছিলেন।

প্রায় ২ ঘন্টা আলোচনা অব্যাহত থাকলেও কাজ কিছু হয়নি। গ্রামবাসীরা জোরের সঙ্গে জানিয়ে দেয় যে তারা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য। যদিও বন বিভাগের কর্তারা তাদের বলেছিলেন যে এ ধরনের কোনও আইনি বিধান নেই। পরিস্থিতি একই থাকলে বন বিভাগের কর্তারা পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ গিয়ে গ্রেপ্তারির হুঁশিয়ারি দিলে গ্রামবাসীরা হার মানে। গ্রামের প্রধানের অনুরোধে কোনও গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বন বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, কুমিরটি পরেরদিন ঘাগড়া নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।