কোভিশিল্ড (Photo Credits: Twitter/@AdarPoonwalla)

পুনে, ১১ জানুয়ারি: করোনা মহামারী (COVID19) রুখতে কোভিশিল্ডকে (Covishield) অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। দেশজুড়ে হয়েছে ভ্যাকসিনের মহড়াও। আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে হবে গণ-টিকাকরণ। এর জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে কোভিশিল্ডকে। পরে ৩ জানুয়ারি কোব্যাকসিনকেও অনুমতি দেয় ডিসিজিআই। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট (SII) তৈরি করেছে কোভিশিল্ড। এই কোভিশিল্ডকে ২০০ টাকা প্রতি ডোজ  দাম নির্ধারণ করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট।

আজ করোনা ভ্যাকসিনের বণ্টন নিয়ে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আরও পড়ুন, আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে শুরু হবে করোনা ভ্যাকসিনের গণ-টিকাকরণ

শনিবার মকর সংক্রান্তির পরই দিনক্ষণ মেনে গণ-টিকাকরণে সিলমোহর দেয় কেন্দ্র সরকার। আগামী ১৬ জানুয়ারি সকলকে করোনার ভ্যাকসিন (COVID19 Vaccine) দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তবে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের এবং প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের। এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মী, দু'কোটি প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা এবং বয়স্করা যাঁরা ৫০ বছরের উর্ধ্বে তাঁদের আগে করোনার টিকা দেওয়া হবে। এই সংখ্যাটি প্রায় ২৭ কোটি। ৫০ বছরের নীচে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে তাঁদেরও আগে করোনার টিকা দেওয়া হবে।

দেশে করোনা টিকার মহড়ার পর কী সমস্যা রয়েছে তা নিয়ে বৈঠক হয়। এখনও পর্যন্ত দেশজুড়ে ৭৩৬টি জেলায় মহড়া হয়েছে। ৩ জানুয়ারি আগেই ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (DCGI)-র পক্ষ থেকে গণ টিকাকরণের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে দেশে তৈরি দুই ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে।