নতুন দিল্লি, ১৭ এপ্রিল: লকডাউনের (Lockdown) দ্বিতীয় পর্যায়েও লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩, ৩৮৭। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছেন ১১,২০১ জন। ভারতে মৃতের সংখ্যা ৪৩৭ জন। অন্তত ১৭৪৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এদের মধ্যে ১ জন বিদেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০৭ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
করোনাভাইরাস মহামারীতে মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। মোট ৩২০৫ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ১৯৪। দিল্লি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সংক্রামিত ১, ৬৩০ জন এবং ৩৮ জন মারা গেছে। তামিলনাড়ু তৃতীয় স্থানে ১,২৬৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে এবং রাজ্যে ১৫ জন মারা গেছে। আরও পড়ুন, মহামারী করোনা মোকাবিলায় চিন থেকে ৬.৫ লক্ষ টেস্টিং কিট আনছে ভারত
India's total number of #Coronavirus positive cases rises to 13,387 (including 11201 active cases, 1749 cured/discharged/migrated and 437 deaths): Ministry of Health and Family Welfare pic.twitter.com/GheWAdYrSS
— ANI (@ANI) April 17, 2020
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় দেশের রেড জোনের ১৭০ টি হটস্পট জেলাকে শ্রেণিবদ্ধ করেছে। যেখানে ক্লাস্টার ও অ-সংক্রামিত জেলা সহ ২০৭ টি হটস্পট জেলা গ্রিন জোন হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্র হটস্পট জেলাগুলিকে রেড জোন হিসাবে নাম দিয়েছে কারণ এই অঞ্চলে প্রচুর সংখ্যক COVID-19 কেস এবং প্রচুর সংখ্যায় বৃদ্ধির হারের ফলে এইসমস্ত জায়গাগুলিতে আরও বেশি করে নজর রাখা দরকার।
মহামারী মোকাবিলার জন্য করোনাভাইরাস চিকিত্সা সরঞ্জাম ভারত চিন থেকে সংগ্রহ করছে। বৃহস্পতিবার চিনে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিস্রি বলেছেন, গুয়াংজু বিমানবন্দর থেকে ৬.৫০ লক্ষ র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট এবং আরএনএ এক্সট্রাকশন কিট সহ মেডিকেল কিট প্রেরণ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই ভারত চিনের কাছে ১৫ মিলিয়ন পিপিই গিয়ার ছাড়াও কয়েক মিলিয়ন করোনা টেস্টিং কিটেরও বরাত দিয়েছে। বরাত অনুযায়ী আগামী দু এক সপ্তাহের মধ্যেই চিন থেকে ২-৩ মিলিয়ন কিট ভারতে এসে পৌঁছাবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।