নতুন দিল্লি, ১৬ অক্টোবর: আগামিকাল, সোমবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। ২৪ বছর পর কংগ্রেসে হচ্ছে সভাপতি পদের জন্য নির্বাচন। দলের ১৩৭ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে ষষ্ঠবার কংগ্রেসে সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে। ২০১৭ সালে রাহুল গান্ধী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। দলের অস্তিত্ব সঙ্কটের মাঝে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গান্ধী পরিবার এবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হননি না। এবারে হাত চিহ্নের সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী কর্নাটকের মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge)ও কেরলের সাংসদ শশী থারুর। দেশের সব রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস দফতর এবং দিল্লিতে এআইসিসি-র অফিসে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা থাকবে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।

মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর দেশের সব রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস দফতর থেকে ব্যালট বক্স এসে পৌঁছবে দিল্লিতে এআইসিসি দফতরে। তারপর দিন, মানে বুধবার, ১৯ অক্টোবর গণনার হবে ফল ঘোষণা। সেদিনই ঘোষণা করা হবে কংগ্রেসের নতুন সভাপতি কে হচ্ছেন। দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে ভোট দেবেন ৫০জনের বেশি কংগ্রেস কর্মী। দিল্লিতে ভোট দেবেন সোনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিং। কর্ণাটক ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যস্ত থাকা দলীয় কর্মীদের ভোট দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

কংগ্রেস এই সভাপতি নির্বাচনে অনেকটাই এগিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়্গে। কারণ তাঁর মাথায় গান্ধী পরিবারের আশীর্বাদ আছে। সুবক্তা শশী থারুর দলে পরিবর্তনের কথা বলে ব্যাপক প্রচার করলেও তেমন সাড়া পাননি। তবে দলীয় কর্মীরা থারুরের পরিবর্তনে সাড়া দিলে সেটা বড় পদক্ষেপ হবে। খাড়গেকে ফেভারিট, আর থারুরকে আন্ডারডগ ধরা হচ্ছে। আরও পড়ুন-রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর চোখের ছানির সফল অপারেশন

কংগ্রেসে এই সভাপতি নির্বাচনে নাটক কম হল না। সোনিয়া গান্ধীর ইচ্ছা ছিল, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সভাপতি পদে প্রার্থী হন। আর রাজস্থানের মসনদে বসুন সচিন পাইলট। কিন্তু এই করতে গিয়ে অশোকের কারসাজিতে রাজস্থানে সরকার পতনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। শেষ অবধি গেহলটকে প্রার্থী না করে অবস্থার সামাল দেওয়া হয়। এরপরই প্রার্থী হন গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মল্লিকার্জুন খাড়্গে। শশী থারুর অবশ্য অনেক আগেই মনোনয়ন জমা দিয়ে, এশব থেকে দূরে প্রচার করে গিয়েছেন। শশীর সাফ জবাব ছিল, তিনি কংগ্রেসে পরিবর্তন আনবেন। যদিও শশীর সঙ্গে মাটির রাজনীতির তেমন সম্পর্ক না থাকা, এবং বিজেপি বিরোধিতায় তেমন ঝাঁঝ না থাকায় তার প্রচারের পালে তেমন হাওয়া লাগেনি।