নতুন দিল্লি, ৫ ডিসেম্বর: কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে দিল্লির সীমান্তে জারি কৃষক আন্দোলন (Farmers' Protest)। কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকদের একের পর এক বৈঠকের পরও কোনও রফাসূত্র হয়নি। আজ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এপিএমসি এবং এমএসপি বিহারে না থাকার কারণে সেখানকার কৃষকেরা কতটা বিপদে পড়েছে তার এক চিত্র তুলে ধরে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করেছেন।
তিনি টুইটে লেখেন,"এপিএমসি এবং এমএসপি না থাকার কারণে বিহারের কৃষকেরা খুবই সমস্যার মধ্যে আছেন, এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোটা দেশকে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি করিয়েছে। এইসময় দেশের অন্নদাতাদের পাশে থাকা আমাদের কর্তব্য।" টুইটের পাশাপাশি যে ভিডিওটি শেয়ার করেন, তাতে বিহারের কৃষকদের অবস্থা তুলে ধরা হয়। সেখানে বিহারের কৃষকেরা নিজের মুখেই জানান, সরকারের লাগু আইনেও পাওয়া যাচ্ছে না ফসলের সঠিক মূল্য। আরও পড়ুন, মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দিলেন কৃষকেরা, কেন্দ্রের কাছে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি
बिहार का किसान MSP-APMC के बिना बेहद मुसीबत में है और अब PM ने पूरे देश को इसी कुएँ में धकेल दिया है।
ऐसे में देश के अन्नदाता का साथ देना हमारा कर्तव्य है। pic.twitter.com/Err20Pp0kv
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) December 5, 2020
এদিকে, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর 'ভারত বনধ'-র (Bharat Bandh) সিদ্ধান্ত নিল দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকেরা। কৃষি আইনগুলি (Farm Laws) প্রত্যাহার না করা হলে ৮ ডিসেম্বর দেশজুড়ে বনধ পালনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্র সরকারকে তিনদিন সময় দিয়েছেন কৃষকেরা, এর মধ্যে আইন প্রত্যাহার না হলে বনধ করবেন বলে অনড় চাষিরা। ৫ ডিসেম্বর ফের তাঁরা আলোচনায় বসবেন বলে জানানো হয়েছে।
কৃষক ইউনিয়নগুলি যৌথভাবে এই বনধ ডেকেছেন। ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন, অল ইন্ডিয়া কিষান সভা জানান, তারা কড়াভাবে এই বনধ পালন করা হবে। সিংঘু সীমান্তে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা এইচএস লাখওয়াল জানান,"আমরা গতকাল কেন্দ্র সরকারকে জানিয়েছি আইন প্রত্যাহার করতে। ৮ডিসেম্বর ভারত বনধ করব।"