নতুন দিল্লি, ৪ জানুয়ারি: গুরু নানকের (Guru Nanak) জন্মস্থান নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে (Nankana Sahib Gurdwara) হওয়া হামলার তীব্র নিন্দা করে টুইট করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। যারা হামলা করেছে তাদেরও নিন্দা করেন। পাকিস্তানের (Pakistan) পঞ্জাবে (Punjab) এই গুরুদ্বারটি উপস্থিত। টুইটে রাহুল গান্ধী ঘটনার নিন্দা করে লেখেন, এটি সীমাহীন ধর্মান্ধতা।
তিনি টুইটে লেখেন,"নানকানা সাহিব গুরুদ্বারের উপর হামলা নিন্দনীয়। ধর্ম নিয়ে গোঁড়ামি বিপজ্জনক। এটি একধরণের বিষের মত যা কোথাও থামে না। প্রেম, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বোঝাপড়া এটিই একমাত্র প্রতিষেধক হতে পারে।" গতকাল এই ঘটনার পর থেকে কংগ্রেসের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য না আশায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং আকালি দলের নেতা হারসিম্রত বাদল বলেন, রাহুল গান্ধির নীরবতা বুঝিয়ে দিচ্ছে তাঁর মনোভাব শিখ বিরোধী।
The attack on Nankana Sahab is reprehensible & must be condemned unequivocally .
Bigotry is a dangerous, age old poison that knows no borders.
Love + Mutual Respect + Understanding is its only known antidote.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) January 4, 2020
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টুইট করে বলেন, এই ঘটনা মানা যায় না। মানবতা সবার ঊর্ধ্বে।
We condemn the incident of violence at Gurdwara Nankana Sahib in Pakistan. This is unacceptable. Humanity comes above all else.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) January 4, 2020
গতকাল বিক্ষোভকারীরা নানাকানা সাহিব গুরুদ্বার ভেঙে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুক্রবার রাত সাতটা নাগাদ শুরু হয় হামলা। উত্তেজিত জনতা হিংসাত্মক আকার ধারণ করছে বুঝতে পেরেই সেনা নামানো হয়েছিল। সেখান থেকে একের পর এক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবুও বিক্ষুব্ধদের মধ্যে থেকে একটাই আওয়াজ আসে কোনও শিখ নানকানা সাহিবে থাকতে পারবে না। শুধু তাই নয় বদলে ফেলতে হবে নানকানা সাহিবের নাম। এই জায়গার নাম হবে গুলাম-ই-মুস্তাফা।