Congress: দেশ আর্থিক জরুরি অবস্থার দিকে এগোচ্ছে, দাবি কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরেজওয়ালার
Randeep Singh Surjewala (Photo Credits: IANS)

নয়াদিল্লি, ৩ সেপ্টেম্বর: মাইনাসে চলে গিয়েছে জিডিপি (GDP)। করোনাভাইরাস (Coronavirus), লকডাউনের জন্য ধুঁকছে দেশের অর্থনীতি (Financial Emergency)। বৃহস্পতিবার এই ইস্যু নিয়েই মোদি সরকারকে একহাত নিল কংগ্রেস। এদিন কংগ্রেসর মুখপাত্র রণদীপ সুরেজওয়ালা (Randeep Singh Surjewala) বলেন আর্থিক জরুরি অবস্থার প্রতি এগোচ্ছে দেশ। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, দেশের গরিব কৃষক, মধ্যবিত্ত এবং যুবসমাজ এর জেরে চরম সমস্যার মুখে পড়তে চলেছে। পড়ুন: Kolkata London Flight Service: ১ দশকেরও বেশি সময় পরে ফের সরাসরি লন্ডনের উদ্দেশে উড়বে কলকাতার বিমান

কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, "আইএলও রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ৪০ কোটি মানুষ দরিদ্রসীমার নীচে চলে যাবেন এবং দেশের ৮০ লাখ মানুষ মানুষকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ইপিএফও অ্যাকাউন্ট থেকে তুলতে বাধ্য করা হবে। এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মঝ্যে ২ কোটি মানুষ চাকরি হারাবেন। এছাড়া যেসমস্ত সংস্থাগুলি চেষ্টা করছিল মাথা তুলে দাঁড়ানোর, সেই সমস্ত সংস্থা থেকেও লকডাউনের জন্য ১০ কোটি মানুষ চাকরি হারাবেন।"

সুরেজওয়ালা দাবি করেন, "নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে দেশের সাধারণ মানুষ আত্মবিশ্বাসই হারিয়ে ফেলেছে। ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং ছোট শিল্প গুলি ধুঁকছে। অর্থমন্ত্রী এদের সুবিধার্থে অনেক কিছুই বড়সড় ঘোষণা করেছে। কিন্তু আদী কী বাস্তবে সেসবের কোনও প্রতিফলন ঘটছে? না কোনও আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন তাঁরা না ব্যাঙ্ক থেকে কোনওরকম সাহায্য আসছে। সরকারের কোনও বিশ্বাস নেই ব্যাঙ্কের উপর অন্য সরকারের কোনও ভরসা নেই আরবিআইয়ের উপরে। রাজ্যের বিশ্বাস নেই সরকারের উপরে। অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।"

এনসিআরবি-র তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে চাকরি হারিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ১৪,০১৯ জন। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৩৮ জন মানুষ। এছাড়া ৪২,৪৮০ জন কৃষক এবং চাষাবাদের যুক্ত কর্মীরা আত্মহত্যা করেছেন গত বছর। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ১১৬ জন গরিব কৃষক প্রতিদিন আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।