পটনা, ২৮ জানুয়ারি: সব জল্পনাই মিলে গেল। শিবির বদল করতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করলেন নীতীশ কুমার। ১৮ মাস আগে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে, অনেক বিদ্রোহ করে ফের পদ্ম শিবিরেই আশ্রয় নেওয়ার খবরে সিলমোহর দিলেন নীতীশ। রাজ্যপালকে নীতীশ কুমার জানালেন, তিনি মহাগঠবন্ধন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন, তাই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। রাজভবনে গিয়ে বিহারের মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করে রাজনৈতিক ডিগবাজির আরও একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ করলেন নীতীশ। এরপর রাতে বিজেপির সমর্থনের আনুষ্ঠানিক চিঠি পেয়ে খুব সম্ভবত আগামিকাল,সোমবাপ রাজভবনে এসে সোমবার এনডিএ-র মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দাবি পেশ করবেন জেডি (ইউ) প্রধান। গত বছর অগাস্টে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে আরজেডি, কংগ্রেসের হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন নীতীশ। এরপর গোটা দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক জায়গায় করে ইন্ডিয়া জোট গঠনের মূল কাজটাও তিনি করেন। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগেই নীতীশ নিজেই এনডিএ-তে ফিরে গেলেন।
২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে খারাপ ফল করেও বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন নীতীশ। সেই নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল ৭৪টি, নীতীশের জেডি (ইউ) ৪৩, আরজেডি ৭৫ ও কংগ্রেস ১৯টি আসনে। কিন্তু বিজেপি দল ভাঙিয়ে দিচ্ছে, এই অভিযোগে ক্ষোভে এনডিএ ছেড়়ে আরজেডি, কংগ্রেসের হাত ধরে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী হন। ১৬ মাস মহাগঠবন্ধনের সরকার চালানোর পর ফের ডিগবাজি খেতেন নীতীশ।
দেখুন খবরটি
Bihar CM and JD(U) president Nitish Kumar meets Governor at Raj Bhavan; tells him - We have decided to sever ties with the mahagathbandhan in the state. pic.twitter.com/qtO0zH1jAB
— ANI (@ANI) January 28, 2024
এদিন রাজভবনে যাওয়ার আগে জেডি (ইউ)-য়ের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে নীতীশ কুমার যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাতেই সমর্থন দেওয়া হবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নীতীশ ইস্যুতে বিহার বিজেপির সদর দফতরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। থেমে নেই লালুপ্রসাদ-তেজস্বী যাদবের আরজেডি-ও। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হতে তেজস্বীর ভরসা এখন নীতীশের দলের বিক্ষুব্ধরা। কংগ্রেস নিজেদের ঘর গুছিয়ে তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে আসরে নেমেছে। তবে সবার নজর দিল্লিতে বসে থাকা অমিত শাহ-র দিকে। এমন ৫০:৫০ পরিস্থিতিতে শাহি চাল সব সময় মোড় ঘুরিয়ে দেয়। একটা কথা পরিষ্কার গতবারের মত এবার নীতীশের এনডিএ-র মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি খুব সহজ হবে না। কারণ নীতীশকে এখন তিনটি বিরোধিতা সামলে হবে-১) বিহার বিজেপির নেতা-বিধায়কদের, ২) এনডিএ-র ছোট দলগুলির, ৩) নিজের দলের বিধায়কদের।
বিহারের সংখ্যা এখন
মহাগঠবন্ধন
আরজেডি: ৭৫, কংগ্রেস: ১৯, বাম দলগুলি=১৬
মোট: ১১০
এনডিএ
বিজেপি: ৭৪, জেডি (ইউ): ৪৩, হাম: ৪, ভিআইপি: ৪
মোট: ১২৫