মানসিক রোগী ডাক্তার সেজেছে(Photo Credits: YouTube/Screengrab)

ভোপাল, ২০ ফেব্রুয়ারি: এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের (Bhopal) ছাতারপুর জেলা হাসাপাতালে। সেখানকার এক মানসিক রোগীর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। সৌজন্য আর এক মানসিক রোগী। তিনি নাকি নিজেকে চিকিৎসক হিসেবেই মনে করেন। তাই সতীর্থকে অসুস্থতায় ভুগতে দেখে নিজেই ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছেন। সেই ওষউ খেয়ে ওই রোগীর অবস্থার অবনতি হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরেছে অসুস্থ রোগীর পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এমন ঘটনা কী করে ঘটল তানিয়ে প্রশন উঠতে শুরু করেছে। ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন রোগীর পরিজনরা। এই খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হতেই শোরগোল পড়েছে।

জানা গিয়েছে ওই হাসপাতালে মাঝেমধ্যেই রোগীদের ভিড় ভীষণভাবে বেড়ে যায়। তখন চিকিৎসকরা ঠিকভাবে সামাল দিয়ে উঠতে পারেন না। সেদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হাসপাতালের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাইরে সার দিয়ে রোগীর লাইন লেগেছিল। সেখানে উপচে পড়া ভিড় দেখে রোগী দেখতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। আসলে তিনি নিজেই মানসিক রোগী। আর ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি কীকরে রোগী দেখলেন ও ওষুধ দিলেন তানিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই সময় ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাইরে যে চিকিৎসকের রোগী দেখার কথা ছিল তাঁর কোনও পাত্তা পাওয়া যায়নি। আরও পড়ুন-Coronavirus In Kerala: কেরালায় করোনাভাইরাস আক্রান্তরা সুস্থ আছেন, ৩ জনকেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হল

বিষয়ি প্রথমে হাসপাতালের সরকারি ওষুধের দোকানিদের নজরে আসে। তাঁরা দেখেন রোগীরা পুরনো প্রেসক্রিপশন নিয়েই ওষুধ কিনতে আসছেন। ব্যাপারটা কী জানতেই এক দোকানি ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে যান। আর দেখেন রোগীই ডাক্তার সেজে বসেছেন। চলছে রোগী দেখা ও ওষুধ লেখার পর্ব। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। ক্রতাব্যক্তির ঘটনাস্থলে এসে ওই ব্যক্তিকে ডাক্তারের চেম্বার থেকে তুলে দেন। তাঁকে হাসাপাতালের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। ততক্ষণে সেখানে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা ভিড় করেছেন। বিতাড়িত ভদ্রলোক জানান তিনি বীর বাহাদুর। দিল্লির এইমস হাসপাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক। তিনি বলেন ওখানে রোগীর ভিড় ক্রমশ বাড়ছিল দেখে তিনিই রোগী দেখতে শুরু করেন। তাঁর প্রেসক্রিপশনে যদি রোগীরা অসুস্থ হয়ে পড়তেন। এই প্রশ্নের উত্তরে বির বাহাদুরের দাবি, একদমই না। বরং তাঁরা সুস্থ হয়ে যেতেন আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি।