প্রতীক হাজেলা (Photo Credit: Twitter)

নতুন দিল্লি, ২৯ নভেম্বর: এবার অসমের এনআরসি কোঅর্ডিনেটরের বিরুদ্ধে কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ করেছে অসম (Assam) পাবলিক ওয়ার্কস। অভিযোগের তির প্রতীক হাজেলার দিকে। সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছে। সিবিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখায় এফআইআর দায়ের হয়েছে বৃহস্পতিবার। প্রতীক হাজেলার (Prateek Hajela) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হলেও, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে গোটা এনআরসি দপ্তরের বিরুদ্ধেই। অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই তিনি এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ফাঁস করে দেবেন। তাঁর দাবি, প্রতীক হাজেলার কাজ নিয়ে এত দিন প্রশ্ন তোলা যায়নি হাজার গন্ডগোলের সন্ধান মিললেও। কারণ সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ ছিল তাঁর। তাই তিনি মুখবন্ধ করা খামে শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দাখিল করলেও তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ ছিল না।

উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগেই অসমের এনআরসির কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলাকে বদলির নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এই বদলির নির্দেশের কারণ ঠিক কী, তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। তারও আগে, গত ৩১ অগাস্ট অসমে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল প্রতীক হাজেলার তত্ত্বাবধানে। খোদ বিজেপি দাবি করেছিল, এই তালিকা ত্রুটিপূর্ণ। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাজেলার বিরুদ্ধে গত মাসে দু’টি মামলা দায়ের করে অসম পুলিশ। এই প্রসঙ্গে অসম পাবলিক ওয়ার্কসের দাবি, কোনও তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে এনআরসির টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয় অডিট করানো হোক। তাহলেই সমস্ত অসঙ্গতি বেরিয়ে পড়বে। তথ্য-প্রযুক্তি সফ্টওয়্যারের অডিটও প্রয়োজন বলে দাবি করেছে তারা। অভিযোগ এনেছে, ল্যাপটপ ও জেনারেটর কেনায় চরম দুর্নীতি করেছেন হাজেলা। আরও পড়ুন-Delhi Air Quality: প্রবল বৃষ্টিতে জাঁকিয়ে শীত পড়তেই স্বস্তির শ্বাস, রাজধানীতে উধাও দূষণ অসুর

এনিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “এনআরসি দপ্তরের কাজে একটা নয়, হাজার ত্রুটি রয়েছে। খতিয়ে দেখে ১৬ দফা আপত্তি জানিয়ে আগেই রিপোর্ট দিয়েছিল ক্যাগ। কিন্তু ঠিক কত কোটি টাকার গরমিল রয়েছে, তা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এবার সব প্রকাশ করা হবে।”