Delhi Air Quality: প্রবল বৃষ্টিতে জাঁকিয়ে শীত পড়তেই স্বস্তির শ্বাস, রাজধানীতে উধাও দূষণ অসুর
দিল্লির দূষণ (Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ২৯ নভেম্বর: অবশেষে স্বস্তির শ্বাস ফেলে বাঁচলেন রাজধানীর বাসিন্দারা। দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের(CPCB) এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (AQI) রিপোর্ট বলছে বেলা আড়াইটেয় আনন্দ বিহার এলাকায় দূষণের মাত্রা ছিল ৮৩। একই ভাবে লোধীরোডে দূষণ মাত্রা ৫৬। দিওয়ালির পর থেকেই দূষণে নাজেহাল রাজধানীর বাসিন্দারা। বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হওয়াতে দূষণের মাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই চানা বৃষ্টির কারমে কম্প দিয়ে শীত পড়েছে গোটা রাজধানীতেই বাদ পড়েনি দিল্লি এনসিআরও। লোধী রোড বেলা আড়াইটেতে দূষণমাত্রা ছিল ১১৪। আনন্দ বিহারে একবার ১৪৯ ও ১৮৪। দিওয়ালির সময় থেকে রাজধানীর দূষণ বিপদসীমার উপরেই রয়েছে।

প্রতিবছর এই সময় বাজি পটকা ফাটানো ও প্রতিবেশী পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় খড় পোড়ানোর জেরে দিল্লি এনসিআর-এর পরিবেশ মারাত্মক দূষিত হয়ে ওঠে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সুপ্রিম রায়ে এই খড় পোড়ানো নিয়্ন্ত্রণে রাখতে না পেরে মারাত্মক ভর্ৎসিত হলেন পাঞ্জাবের মুখ্যসচিব। সুপ্রিম কোর্ট এজন্য কেন্দ্রকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। স্পষ্ট বলেছেন, রাজধানীতে বেশ কিছু এয়ার পিউরিফায়িং টাওয়ার লাগানো হোক। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকার যদি দূষণ নিয়্ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা না নেয় তাহলে তাঁদের বাড়ির পরিবেশও দূষণের প্রকোপ থেকে রেহাই পাবে না। গত দুদিন আগে উত্তুরে হাওয়ার গতিও তেমন বেশি কিছু নয়, তাই দূষণ কমার কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আরও পড়ুন-Delhi Air Pollution: দূষণের নাগপাশে দিল্লি, একমাত্র ভারী বর্ষণেই বদলাতে পারে পরিস্থিতি

একমাত্র মুষলধারায় বৃষ্টি হলে কমতে পারে দূষণ। কিন্তু সেদিকেও বিধি বাম। মুষলধারায় বৃষ্টিতে দূরের বিষয় ঝিরঝিরে ধারায় পড়ছে। রাজধানীরা বাসিন্দারা একেবারে নাকাল। এর জেরে দূষণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে দিন দুয়েক আগেই খড় পোড়ানো প্রসঙ্গে পাঞ্জাবের মুখ্যলচিবকে একহাত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সরকার কেন খড় পোড়ানোর মতো দূষণ কাজকে নিয়্ন্ত্রণ করতে পারছে না, তানিয়ে তিরস্কার করে। মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে কেমন করে তাদের চিকিৎসা করাবেন। আমাদের বলুন, সুপ্রিম নির্দেশের পরেও কী করে খড় পোড়ানোর কাজ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেল। কেন এই খড় পোড়ানোর কাজ চলছে কি না তা দেখা হল না। এটা কী ব্যর্থতা নয়?