মাছের তেল যা শরীর এর পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। মাছের তেলের মূল উপাদান ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হার্ট সুস্থ রাখার পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও উন্নত করে। যারা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য মাছের তেল খুবই কার্যকর। এটি কেবল হার্ট এবং মস্তিষ্ককেই নয়, বরং আমাদের শরীরের প্রতিটি অংশ কে প্রভাবিত করে। স্বাস্থ্যকর ত্বক, উজ্জ্বল চুল এবং সুস্থ শরীরের পেছনে এই তেলের  ভূমিকা অনেক।

এর ব্যবহার শুরু করতে হলে প্রথমেই দেখতে হবে আপনি কোন ফরমেটের মাছের তেল ব্যবহার করতে চান, ক্যাপসুল, তরল না খাদ্যে মিশ্রিত আকারে। যদি ক্যাপসুল ফর্মে ব্যবহার করেন তবে সাধারনত প্রতিদিন ১-২টি ক্যাপসুল গ্রহণ করা যেতে পারে, তবে সঠিক পরিমাণ জানতে আপনার পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

তরল মাছের তেলের ক্ষেত্রে, আপনি এটি সরাসরি বা পানীয়, স্মুদি, স্যালাড বা হালকা খাদ্যের সাথে মিশিয়ে গ্রহণ করতে পারেন। অনেকেই সকালে খালি পেটে অথবা খাবারের পর মাছের তেল গ্রহণ করে থাকেন যাতে শরীরে পুষ্টির শোষণ ভালোভাবে হয়। এই পদ্ধতি শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, ত্বক মসৃণ রাখে এবং চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দেয়।

তবে মাছের তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। অনেক সময় অতিরিক্ত পরিমাণ গ্রহণের ফলে হজমজনিত সমস্যা, গ্যাস, বা রক্তপাতের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এজন্য, নিজস্ব শারীরিক অবস্থা ও প্রয়োজন বোঝার জন্য প্রথমেই একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ধীরে ধীরে ডোজ বাড়ানোর মাধ্যমে শরীরকে অভ্যস্ত করানোর নিয়ম মেনে চলা নিরাপদ এবং কার্যকর।