ভুবনেশ্বর, ১৩ জুন: বহু শতাব্দী ধরে নদীতে ডুবে থাকা মহানদীর (Mahanadi) জল থেকে ৫০০ বছরের পুরনো প্রাচীন মন্দিরের উত্থান হয়েছে নয়াগড়ে (Nayagarh)। প্রাচীন মন্দিরটি নয়াগড়ের পদ্মাবতী গ্রামের নিকট মহানাদীতে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ (ইনট্যাক) কাছে অবস্থিত। ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে মন্দিরটি ৬০ ফুট উচ্চতা বলে মনে করা হচ্ছে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, মন্দিরটি ১৫তম শতাব্দীর শেষের দিকে কিংবা ১৬ শতকের গোড়ার দিকে নির্মিত হয়েছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা আরও ৱেলছেন, মন্দিরটি ভগবান গোপীনাথকে উত্সর্গীকৃত, যা ভগবান বিষ্ণুর একটি রূপ।
কিছু প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে, প্রাচীন গোপীনাথ দেব মন্দিরের (Gopinath Dev Temple) শীর্ষ চূড়াটি প্রায় ১১ বছর আগে শেষবার দেখা হয়েছিল, যা মহানদির জলের স্তর হ্রাসের পরই উত্থিত হয়েছিল। আরও একবার মন্দিরটি জল থেকে উত্থিত হওয়ার পর স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে প্রাচীন মন্দিরটি পুনরুদ্ধার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞ পদ্মবতী পবিত্র কুমার সুবোধি দাবি করেছিলেন, মহানদী ১৯৩৩ সালে পরিবর্তিত হয়েছিল এবং পদ্মাবতী গ্রামে প্লাবিত হয়েছিল। ১৯৩৩ সালে বন্যার পরে মহানদী নদীটির পথ পরিবর্তন করে পুরো গ্রাম প্লাবিত করে। গ্রামবাসীদের সেই জায়গাটি ছেড়ে উচ্চতর অঞ্চলে চলে যেতে হয়েছিল যেখানে তারা আরও একটি নতুন গ্রাম তৈরি করেছিলেন এবং এর নামকরণ করেছিলেন পদ্মাবতী। মহানদীর জলে গোপীনাথ মন্দিরও নিমজ্জিত ছিল; তবে, গ্রামবাসীরা তখন মন্দিরটি থেকে দেবতাকে সরিয়ে তাদের নতুন গ্রামে এটি স্থাপন করেছিলেন।
আরও পড়ুন, দেশে একদিনে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেয়ে করোনা আক্রান্ত ১১,৪৫৮ জন, মোট সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়ালো
২০২০-তে একের পর বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেই চলেছে। তা হঠাৎ গোটা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস-ই হোক কিংবা বাংলার বুকে সবথেকে শক্তিশালী ঝড়ের আছড়ে পড়াই হোক। একের পর এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটেই চলেছে এই বছরজুড়ে। মাটির তলা থেকে শতাব্দী প্রাচীন যদি উত্থানের ঘটনাও বিরল।