CM Mamata Banerjee (Photo Credit: X)

মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত প্রবীণ তৃণণূল সাংসদদের পর খোদ মমতাও ঘুরিয়ে ইন্ডিয়া জোটকে নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছপ্রকাশ করেছেন। আর দিদিকে ইন্ডিয়ার প্রধান নেত্রীর ভূমিকায় দেখতে চেয়ে মহারাষ্ট্রের দুই দল-শিবসেনা (উদ্ভব ঠাকরে) ও এনসিপি (শরদ পাওয়ার) সরাসরি বক্তব্য রেখেছে। দেশের রাজনীতির বটগাছ হিসেবে পরিচিত শরদ পাওয়ারও ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বে মমতাকে চেয়েছেন। আর এবার অন্ধ্র প্রদেশের প্রধান বিরোধী দল ওয়াইএস আর কংগ্রেস মমতাকে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বে চাইল। অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি-র দলের সাংসদ বিজয়সাই রেড্ডি ( Vijayasai Reddy) বললেন, মমতারই উচিত ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দেওয়া। বিজয়সাই রেড্ডি হলেন রাজ্যসভায় ওয়াইএস আর কংগ্রেসের প্রধান নেতা।

লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির দিকে ঢলে থাকা অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি-র দল এখন ইন্ডিয়া জোটে সামিল হওয়ার চেষ্টা করছে। কারণ অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু এখন শুধু এনডিএ-তেই নয়, সংখ্যার কারণে তিনিই এখন মোদী সরকারের তুরুপের তাস। চন্দ্রবাবুকে পরাস্ত করতে তাই ইন্ডিয়াতেই আসতে চায় YSRCP। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক একেবারেই ভাল না থাকায়, জগনমোহন রেড্ডি ইন্ডিয়াতে আসতে পারছেন না। কিন্তু মমতাকে মুখ করে ইন্ডিয়া জোট এগোলে তাতে জগনের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

দেখুন খবরটি

জোর জল্পনা, ওডিশায় ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ার পর নবীন পট্টনায়েকের বিজেডিও ইন্ডিয়া জোটে আসতে পারে। কিন্তু জগনের মত নবীনেরও মূল সমস্যা কংগ্রেসকে নিয়ে। মল্লিকার্জুন খাড়গে-রাহুল গান্ধী-রা যেভাবে মহারাষ্ট্রে, হরিয়ানায় হোঁচট খেলেন তারপর ইন্ডিয়া জোটের দলগুলির মনোবলে বড় ধাক্কা খেয়েছে। কংগ্রেসকে পিছনের সারিতে রেখে মমতা, হেমন্ত সোরেন, অখিলেশ যাদবদের সামনের সারিতে রেখে বিজেপি বিরোধী জোটে আগ্রহ বাড়ছে।