অমিত শাহ(Photo Credits: IANS)

পাকুর, ১৬ ডিসেম্বর: আগামী চার মাসের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে উঠবে আকাশ ছোঁয়া রামের মন্দির। ঝাড়খণ্ডের পাকুরে এক নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে একথাই বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Ami Shah)। গত নয় নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় দেন। তাতে জানা যায়, ওই বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রামমন্দির তৈরি হবে। আর মসজিদ গড়ার জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অন্যত্র ৫ একর জমি দেওয়া হবে। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এই হাইভোল্টেজ মামলার রায় দেওয়া কয়েক দিন পরেই প্রধান বিচরপতির পদ থেকে অবসর নেন রঞ্জন গগৈ।

এদিকে রায় যাই হোক না কেন দেশের শীর্ষ আদালাতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হবে না। আগেই জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাই রায় বিপক্ষে গেলেও তারা কোনওরকম বিরূপ মন্তব্য করেনি। তবে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ-সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন অযোধ্যা সম্পর্কিত সুপ্রিম রায় মেনে নেয়নি। অযোধ্যার প্রাপ্য জমি যখন জোটেনি। তখন মসজিদের জন্য আলাদা জমির দরকার নেই। কারও কারও মতে এই রায় একপেশে। কেউ কেউ বলছেন সংবিধান মেনে রায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। কেননা বাবরি মসজিদের নিচে বৌদ্ধদের মনাস্ট্রির ধ্বংসাবশেষ মিলেছে সেখানে তাহলে রামমন্দির তৈরি হবে কী করে। সে যাইহোক ততদিনে বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছেন রঞ্জন গগৈ। তাঁর জায়গায় এসেছেন প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে। আরও পড়ুন-Mamata Banerjee Over CAA NRC: 'এনআরসি ও সিএএ-র বিরোধিতায় রাষ্ট্রপতিকে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখুন, রাজ্যে ক্যাব করতে হলে আমার মৃতদেহের উপর থেকে যেতে হবে', মিছিল শেষে হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রীর

এরপর একে একে বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠনের পাশাপাশি হিন্দু মহাসভার মতো কিছু সংগঠনও অযোধ্যার রায়ের পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা করে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করা হয়। যদি এনিয়ে আরও কোনও আবেদন জমা পরে কি না তা দেখার জন্য। এরপর গত নয় ডিসেম্বর ফের মামলাটির শুনানির দিন ধার্য হলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে ওই ১৮টি আবেদনকেই খারিজ করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ, সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অযোধ্যা মামলার যে রায় দিয়েচেন তার পরিপ্রেক্ষিতে কোনওভাবেই ওই রায় আর পুনর্বিবেচনা করা হবে না। বিতর্কিত জমিতে রামমন্দিরই তৈরি হবে। আর আজ এনআরসি ও সিএএ ইস্যুর মাঝে ভোটের বাজার চাঙ্গা করতে সেই তাসই খেললেন অমিত শাহ।