আলিগড়, ২২ ডিসেম্বর: বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বহিষ্কার করল উপাচার্য (Vice Chancellor) ও রেজিস্ট্রারকে (Registrar)। ঠিকই পড়ছেন। ঠিক যেটা লেখা আছে সেটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে (Aligarh Muslim University)। ২২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অফিস অফ দ্যা স্টুডেন্টস'- নামে একটি প্যাডে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে লেখা আছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য তারিক মনসুর (Tariq Mansoor) ও রেজিস্ট্রার এস আবদুল হামিদকে (S Abdul Hamid) বহিষ্কার করেছেন। জারি করা নোটিশে দাবি করা হয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালের অন্য শিক্ষক ও নন-টিচিং স্টাফরা এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। উপাচার্য তারিক মনসুর ও রেজিস্ট্রার এস আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে নোটিশে। পাশাপাশি এ জন্য তাঁদের তিরস্কারও করা হয়েছে।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jamia Millia Islamia) পুলিশের হানা ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে প্রতিবাদ বিক্ষোভে নেমেছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এটাকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার সব দেখে শুনেও চোখ বন্ধ করে রয়েছেন বলে দাবি পড়ুয়াদের। আরও পড়ুন: Narendra Modi On Mamata Banerjee: 'দিদি আপনি কেন ভয় পাচ্ছেন?' রামলীলার সভায় মমতা ব্যানার্জিকে খোঁচা নরেন্দ্র মোদির
Meanwhile, students of Aligarh Muslim University have expelled their Vice Chancellor and Registrar. #IndiaAgainstCAA_NRC pic.twitter.com/cMO93egIza
— Neha Dixit (@nehadixit123) December 22, 2019
নোটিশে পড়ুয়ারা উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকে লজ খালি করতে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এছাড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে দাবি না মানা হলে পড়ুয়া, অধ্যাপক, নন টচিং স্টাফ ও কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বয়কট করবে। উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার পদ না ছাড়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, "যতক্ষণ না তাঁরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান ততক্ষণ কোনও কার্যক্রম ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে না।" শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে পুলিশ তাদের চিহ্নিত করে টার্গেট করেছে। ১৫ ডিসেম্বর বিক্ষোভের পরে পুলিশ ক্যাম্পাসে হানা দেয়।