দিল্লি, ২ ডিসেম্বর: ইউপিএ-র (UPA) কোনও অস্তিত্ব নেই। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রকাশ্যে এই বার্তা দেন, তখন থেকেই কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়ে জোর গুঞ্জন। ইউপিএ-এর অস্তিত্ব নেই বলে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং শরদ পাওয়ার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন, সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে 'অল আউট অ্যাটাকের' সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস। ইউপিএ-এর অস্তিত্ব নেই বলে তৃণমূল যেভাবে শতাব্দী প্রাচীন দলের অস্তিত্ব অস্বীকার করে, সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধে অল আউট অ্যাটাকের সিদ্ধান্ত নিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), সোনিয়া গান্ধীরা। দলের বরিষ্ঠ নেতারাই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের রণকৌশল স্থির করবেন বলে জানা যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এবার লাগাতার প্রচার শুরু করতে চলেছেন রাহুল গান্ধীরা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের অন্দরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয়স্তরে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে শুরু করেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবার তাই আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ত্রিপুরা থেকে গোয়া, মেঘালয়, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, সর্বত্র তৃণমূল (TMC) একের পর এক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
মেঘালয়ে কংগ্রেসের মুকুল সাংমাসহ ১২ বিধায়ক যখন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন, সেই সময় থেকেই রাজনৈতিক মহলে জোরদার চর্চা শুরু হয়ে যায়। ভোট কৌশুলি প্রশান্ত কিশোরের অঙ্গুলিহেলনেই মেঘালয়ে কংগ্রেসে ভাঙন ধরাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভৌট কৌশুলি প্রশান্ত কিশোর এবং গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালিরোর বুদ্ধিতেই তৃণমূল কংগ্রেস সোনিয়া গান্ধীদের দলে ভাঙন ধরাতে চাইছে বলে মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী। এবার সেই রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Congress)। ফলে মুম্বই সফরের দ্বিতীয় দিনে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করে ইউপিএ-এর অস্তিত্ব কার্যত অস্বীকার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে যে কোনও রাজনৈতিক দলকে স্বাগত বলেও মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।