মুম্বই, ৫ অক্টোবর: বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) নির্দেশের পরও হাল ছাড়তে নারাজ আরে কলোনিতে (Aarey Colony) গাছ কাটা বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামা পরিবেশবিদ ও সমাজকর্মীরা। মুম্বই মেট্রো রেলের (Mumbai Metro) কারশেডের জন্য ২,৬০০ গাছ কাটার অনুমোদন দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। মুম্বইয়ের ফুসফুস হিসেবে পরিচিত আরে কলোনি এবং তার সঙ্গে সঞ্জয় গান্ধী জাতীয় উদ্যান যোগ করে কারশেডের করিডর নির্মাণের জন্য বিস্তীর্ণ জমি অধিগ্রহণ করে মুম্বই মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্টের নির্দেশ আসতেই গাছ কাটার উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। এরপর সেখানে জড়ো হয় বহু আন্দোলনকারী। প্রশাসনকে গাছ কাটা থেকে বিরত করার চেষ্টা করায় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে শুক্রবার রাতে আটক করা হয়েছিল। সকালে জানা যাচ্ছে, ২৯ জন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ৩৮ জনের বিরুদ্ধে FIR করা হয়েছে। পুলিশকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়ার কারণে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী বাইরেই রাত কাটিয়েছিলেন। এদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা (144 of crpc)।
সাম্প্রতিক বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার শিবসেনা (Shivsena) নেতা আদিত্য ঠাকরে (Aaditya Thackeray) আন্দোলনকারীদের সমর্থন করেছেন। গাছ কাটাকে একটি "অহং যুদ্ধ" হিসাবে তিনি অভিহিত করেছেন। আন্দোলকারীদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আটক হয়েছেন শিবসেনা নেত্রী প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী। আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী পদের মানানসই আচরণ করছেন না ইমরান খান: বিদেশ মন্ত্রক
পরিবেশবিদ থেকে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ শতাধিক বিক্ষোভকারী গাছ কাটার বিরোধিতা করে আসছেন। বিক্ষোভকারীরা মেট্রো তৃতীয় প্রকল্পের একটি অংশ অর্থাৎ বাস ডিপো স্থানান্তর করার দাবি করেছেন। টুইট ককে জোর করে গাছ কাটার বিরোধিতা করেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধভ ঠাকরেও। তিনি বলেন যে মুম্বই মেট্রোর যে শক্তি প্রয়োগ করে গাছ কেটে বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস করতে চাইছে তা লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য। তাঁর কটাক্ষ, "এই আধিকারিকদের পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে পাঠানো হলে কেমন হবে? গাছের চেয়ে জঙ্গি শিবির ধ্বংস করার জন্য তাদের দায়িত্ব দেওয়া হোক।"
তিনি আরও যোগ করেন, "আশপাশের অনেক পরিবেশবিদ, এমনকী শিবসেনার অনেক স্থানীয় সদস্যও এটিকে থামানোর চেষ্টা করেছেন। আরও বেশি পুলিশ মোতায়েন রেখে কীভাবে এই বনভূমি হচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘে ভারত যা বলেছিল তা মুম্বই মেট্রো ধ্বংস করে দিচ্ছে।"