ওয়াশিংটন, ৮ জানুয়ারি: “ইরান আর বেশিদিন পরমাণু অস্ত্র রাখার অনুমতি পাবে না। সুপ্রভাত, ইরাকে গত কালকের ইরানি হামলায় কোনও মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়নি। মার্কিন সেনারা সমস্ত রকম হামলার জন্য তৈরি। সতর্কতা অবলম্বনের জন্য কোনও হতাহতের খবর নেই। শুধু সেনা ঘাঁটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। ইরাক বা মার্কিন সেনার কোনও ক্ষতি হয়নি।” গতরতে টুইটের পর স্থানীয় সময় সকালে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর মুখ খুললেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, “গত সপ্তাহে মার্কিন সেনাকে হুমকি দেওয়ার অপরাধে ইরানের সেনা প্রধান কাসেম সোলেইমানির উপরে হামলা চালায় মার্কিন সেনা। তাঁর মৃত্যুতে স্বস্তি এসেছে। তাঁর নির্দেশেই মার্কিন সেনার উপরে মুহুর্মুহু হামলা হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে তিনি নতুনভাবে হামলার ছক কষছিলেন, তাই তাঁকে চিরঘুমে পাঠিয়ে দেওয়া হল। সোলেইমানির মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে বিশ্বের সমস্ত সন্ত্রাসবাদীদের কাছে একটাই বার্তা দেওয়া হল। নিজেদের বাঁচাতে চাইলে মানবসম্পদ ধ্বংসের ভাবনা মাথা থেকে সরিয়ে দেওয়া। ইরান যদি বার বার সন্ত্রাসে মদত দেয় তাহলে সেকানে শান্তি ফিরবে না। এসব চলতে থাকলে আমেরিকা কিন্তু বেশিক্ষণ সহ্য করবে না। আমরা এখন নিজেরাই তেল সরবরাহ ও উৎপাদন করতে পারি। মধ্যপ্রাচ্যের তেলের দরকার আমেরিকার আর নেই। মার্কিন সেনা ও অর্থনীতি সাড়া বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে। আইসিস ইরানের প্রকৃত শত্রু। আইসিস ধ্বংস হলে ইরানের উন্নতি হবে। ইরান যদি আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আইসিস বিতরণে উদ্যোগী হয় তাহলে উপকার হবে।”
এর আগে মার্কিন হামলার প্রাথমিক বদলা সেরে ফেলেছে ইরান। ইরাকের দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ৮০ জন মার্কিন সেনাকে উড়িয়ে দিয়েছে ইরানের সেনা। এই ঘটনার পর সেদেশের প্রধান ধর্মগুরু আয়াতোল্লা খোমেনেই বলেছেন, এটা শুধু ওয়াশিংটনের গালে থাপ্পড় মাত্র, আরও অনেক কিছু বাকি আছে। যদিও আজকের হামলার ঘটনায় সেনার মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি আমেরিকা। বিমান হামলার ঘটনায় টুইটে প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, “অল ইজ ওয়েল। এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, ভাল হয়েছে! সব থেকে বেশি শক্তিশালী ও সশস্ত্র সেনা মার্কিনীদেরই রয়েছে। যা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করছে। আজ আর নয় আগামী কাল এনিয়ে কথা বলব।”