তানাজানিয়ার প্রেসিডেন্ট জন মেগুফুলি (Photo Credits:AFP)

নাইরোবি, ১০ জুন: ফের একবার প্রকাশ্যে তানজানিয়াকে (Tanzania) করোনামুক্ত ঘোষণা করলেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট জন মেগুফুলি। তাঁর বক্তব্য ঈশ্বরের কাছে একযোগে প্রার্থনার একটা শক্তি তো রয়েইছে, যার জেরে করোনা দেশে থেকে বিদায় দিয়েছে। করোনা সংক্রমণের মাস দেড়েক পর থেকেই তানজানিয়ার সরকার আর দেশের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কোনও তথ্যের প্রচার করছে না। রবিবার গির্জার এক সমাবেশে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জন মেগুফুলি বলেন, “আমাদের দেশে ঈশ্বরের শক্তির কাছে করোনা আজ পরাভূত হয়েছে। ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে ধর্ম সভায় মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। মাস্ক থেকে ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে, তাই সরকার মাস্ক পরিধানে সম্মতি দিচ্ছে না।”

গত ৬ সপ্তাহ ধরে তানজানিয়ায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৯ জনেই আটকে আছে। যদিও বিরোধী পক্ষ ও প্রতিবেশী দেশের আশঙ্কা পূর্ব আফ্রিকার ওই দেশটিতে হু হু করে বাড়চে আক্রান্তের সংখ্যা। একই সঙ্গে বিরোধী রাজনীতিকদের দাবি তানজানিয়ায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। যখন আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলি ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতায় তৎপর ঠিক তখন তানিজানিয়ার প্রেসিডেন্ট মেগুফুলির দাবি দেশের অর্থনীতিকে ধসিয়ে দেওয়ার জন্য ককনোও অজ্ঞাত শক্তি করোনাকে নিয়ে রং চড়িয়ে গল্প বানাচ্ছে। এই সংক্রমণ নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তাদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন তিনি। তাঁদের বরখাস্ত করেছেন। এমনকী দেশের মানুষের চলাফেরা গণ্ডীকেও সীমাবদ্ধ করেছেন। তাঁর করোনা আক্রান্ত চেলে নাকি আদা ও লেবুর রস খেয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে। আরও পড়ুন-Jammu & Kashmir: কাকভোরে জম্মু কাশ্মীরের সোপিয়ানে সেনার গুলিতে নিকেশ ২ জঙ্গি, এনকাউন্টার অব্যাহত

রাজধানী দোদমায় শিক্ষকদের এক সমাবেশে প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেন, যে তিনি যখন ক্ষমতায় আসেন তখন বলা হয়েছিল তানজানিয়ায় জিকা ভাইরাস মিলেছে। প্রচুর লোক এতে আক্রান্ত। পরে দেখা যায় এই তথ্যের কোনও সত্যতা নেই। এরপর তারা বলল, একানে ইবোলার সংক্রমণ হয়েছে। যাতে কেউ তানজানিয়ায় বেড়াতে না আসে. এর ফলে দেশের পর্যটন ব্যবসা মার খেল অর্থনীতি ধসে পড়ল পুরোপুরি। তবে সেক্ষেত্রেও দেখা গেল দেশের কেউ ইবোলায় আক্রান্ত হননি মৃত্যু তো দূরের কথা। এখন এখানে এসেছে করোনা। তারা বলছে, আফ্রিকার রাস্তায় নাকি সার দিয়ে দেহ পড়ে আছে। তবে তারা জানে না যে ঈশ্বর তানাজানিয়াকে ভালবাসে। আমরা তিনদিন ধরে প্রার্থনা করতেই করোনাভাইরাস শেষ হয়ে গিয়েছে। গোটা দেশে ৬০ মিলিয়ন লোক বসবাস করে তার মধ্যে মাত্র চার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।