কাবুল, ৯ আগস্ট: কাশ্মীর ইস্যুতে আফগানিস্তানকে টানবেন না, ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দিল তালিবানরা (Taliban)। ৩৭০-এর (Article 370) গুঁতোয় চোখে অন্ধকার দেখছে পাকিস্তান (Pakistan)। যেখানে সেখানে ভারতের নিন্দায় মুখর হয়েছে, দিল্লি নাকি কাশ্মীর নিয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব বলতে গিয়েই উদাহরণ হিসেবে আফগানিস্তানের (Afghanistan) নাম করেছিলেন পাকিস্তানের এক রাজনৈতিক নেতা। সঙ্গে সহ্গেই পাল্টা জবাব ফিরিয়ে দিল তালিবান। সাফ জানাল কাশ্মীর সমস্যার সঙ্গে আফগানিস্তানের কোনও মিল নেই। তাছাড়া কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারতে যদি শান্তির বাতাবরণ নষ্ট হয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে তা কখনওই কাম্য হতে পারে না। আরও পড়ুন-এবার দুদেশের মধ্যে সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধ করল পাকিস্তান
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের বিশেষ খেতাব বিদায় হতেই পাকিস্তানের ঘুম উড়েছে। জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে সে দেশের বিরোধী দলনেতা শেহবাজ শরিফ আফগানিস্তানের সঙ্গে তুলনা টেনেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘এটা কী হল? কাবুলেও তো শান্তিতে থাকতে পারেন আফগানরা। কিন্তু কাশ্মীরে রক্ত ঝরে। তাই এটা (৩৭০ ধারা রদ) আমরা মেনে নিতে পারি না।’’ এরপরেই মুখ খোলেন তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লা মুজাহেদ (Zabihullah Mujahed) । এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘‘কেউ কেউ যে কাশ্মীর ইস্যুর সঙ্গে আফগানিস্তানের সমস্যাকে এক ভাবে দেখার চেষ্টা করছেন, তাতে কাজের কাজ কিছু হবে না। কারণ, কাশ্মীর ইস্যুর সঙ্গে আফগানিস্তান জড়িত নয়। পাশাপাশি, কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের রেষারেষিতে আফগানিস্তানকে টেনে আনাও উচিত নয়।’’
আফগানিস্তানেও তালিবান সমস্যা মিটেও মিটছে না। সেখানে আমেরিকা সেনা রেখে দিয়েছে। তালিবান যদি শান্তি চুক্তি মেনে নেয় তাহলেই আফগানিস্তানের মাটি থেকে সেনা সরিয়ে নেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই কাজে মধ্যস্থতা করছে পাকিস্তান। সম্প্রতি এনিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথাও হয়েছে। তারমধ্যেই কাশ্মীরের এই পরিস্থিতি তালিবানকে চিন্তায় ফেলেছে। এই কারণে আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে তালিবান। তবে তালিবানকে আশ্বস্ত করে কাবুলে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারত-পাক রেষারেষির প্রভাব পড়বে না আফগানিস্তানে।