রাশিয়া-ইউক্রেন, ইজরায়েল-হামাস-লেবানন, ইরান-ইজরায়েল। বিশ্বের বেশ কিছু জায়গায় যুদ্ধের মাঝে অনেকটা নি:শব্দে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে ক্ষমতার বদল হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ ৬৩ বছর ধরে সিরিয়ায় ক্ষমতায় থাকা আল-আসাদ পরিবারের হাত থেকে সিংহাসন চলে যাচ্ছে। তুরস্কের মদতপুষ্ঠ এইটিএস জেহাদি গোষ্ঠী রাজধানী আলেপ্পো সহ বেশীরভাগ সিরিয়ার দখল নিয়ে ফেলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারী রেডিও চ্যানেলের দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। আল-আসাদ পরিবারের বেশীরভাগ মূর্তিও ভেঙে ফেলছে বিদ্রোহীরা। ১৯৭১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন হাফিজ আল-আসাদ। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর ক্ষমতায় ছিলেন।
২০০০ সালে তাঁর মৃত্যুর পর হাফিজ পুত্র বাসার আল-আসাদ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হন। পুতিন ঘনিষ্ঠ বাসার আল আসাদ টানা ২৪ বছর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন। একের পর এক বড় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা বাসার আল-আসাদের বিরুদ্ধে দেশে বিক্ষোভ চরমে উঠেছিল। আমেরিকা, ইজরায়েলও বাসার আল-আসাদকে সরাতে মরিয়া ছিল। কিন্তু রাশিয়ার আর্শীবাদে নিজের সিংংহাসন কোনও রকমে গত কয়েক বছর টিকিয়ে রেখেছিলেন আসাদ।
বিদ্রোহীদের দখলে সিরিয়া
Reserve army of Assad regime: PKK/YPG terrorists, in very close coordination with Assad's Army, reached Aleppo Airport before Syrian rebels. pic.twitter.com/fLdClCB9Ak
— Clash Report (@clashreport) November 30, 2024
কিন্তু তুরস্কের এর্দোয়ান সরকার বাসার বিরোধীদের সরাসরি সাহাায্যয় করায় আর ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলেন না বাসার আল-আসাদ। রাশিয়ায় গিয়ে দেখা গদি বাঁচানোর একটা শেষ চেষ্টা করেছিলেন আসাদা। কিন্তু সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট যখন রাশিয়ায় গিয়ে পুতিনের কাছে হাতজোড়ো করে ক্ষমতা ধরে রাখার সাহায্য চাইলেন, তখনই বাসারের গদি গেল। সিরিয়ার দখল নিল বিদ্রোহীরা।