কিভ, ১৭নভেম্বর: ইউক্রেনের ওপর বিগত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা চালাল রাশিয়া। মোট ১২০টি ঘাতক মিসাইল ও ৯০টি ড্রোন নিয়ে ইউক্রেনকে চারদিক থেকে ঘিরে ক্রমাগত আক্রমণ চালাতে থাকল ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। এখনও পর্যন্ত এই রুশ হামলায় কমপক্ষে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি-র অভিযোগ, রাশিয়ার এই হামলার প্রধান উদ্দেশ্য হল তাদের দেশের বিদ্যুত উতপাদন কেন্দ্রগুলির ওপর আঘাত হানা। রুশ হামলায় ইউক্রেনের তিনটি অঞ্চলের বিদ্যুত কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পর থেকে চাপে ইউক্রেন। আর ইউক্রেনকে কোণঠাসা অবস্থায় পেয়ে রাশিয়া সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে শুরু করেছে। যদিও এখনও কটা দিন বাইডেন ক্ষমতায় থাকায় ইউক্রেনও পাল্টা মরণকামড় দিয়ে রাশিয়ার ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। রাশিয়া যেভাবে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে আর যেভাবে ইউরোপের দেশগুলি আর সেভাবে আগের মত পাশে দাঁড়াচ্ছে না তাতে ইউক্রেনের পাশে। তাই এখন যুদ্ধ থেকে সরে আসতে হতে পারে ইউক্রেনকে।
ইউক্রেনে হামলা রাশিয়ার
BREAKING: Russia has launched one of its "largest air attacks" on Ukraine overnight, Kyiv's foreign minister has said.
Latest: https://t.co/5pznUbYp3h
📺 Sky 501, Virgin 602, Freeview 233 and YouTube pic.twitter.com/2LTg63JuNb
— Sky News (@SkyNews) November 17, 2024
ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন ট্রাম্প জেতায়। জো বাইডেন ঘনিষ্ঠ ইউক্রেনের প্রধান জেলেনস্কি-র সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ভাল নয়। ট্রাম্প মনে করেনে, জেলেনস্কি বাইডেন প্রশাসনকে টাকা ছাপানোর মেশিনের মত ব্যবহার করে যুদ্ধের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে লুঠ করছে। তুলনায় ইউক্রেনের চেয়ে ট্রাম্পের কাছের মানুষ পুতিন।
তাই বাইডেন প্রশানের মত ট্রাম্প আর ইউক্রেনকে অর্থ ও সামরিক সাহায্য করবে না, সেটা পরিষ্কার। আর আমেরিকার সাহায্য ছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়া অসম্ভব ইউক্রেনের। এমন অবস্থায় ট্রাম্পের চাপে যুদ্ধ থেকে সরে এসে রাশিয়ার দাবি মেনে নিতে হবে জেলেনস্কি-কে।