Shehbaz Sharif (Photo Credit: @MohdBinAl/ X)

পাকিস্তানের পার্লামেন্টে চিৎকার ও বিক্ষোভের মধ্যে ২০১টি ভোট পেয়ে শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য রবিবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের অধিবেশন বসে, যে নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের নেতা শেহবাজ শরিফ সহজেই জয়ী হয়েছেন। ৭২ বছর বয়সী শেহবাজ কারাবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (PTI) ওমর আইয়ুব খানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে স্লোগানের মধ্যে এক ঘণ্টারও বেশি দেরির পর অধিবেশন শুরু হয়। জয়ের জন্য ৩৩৬ সদস্যের জাতীয় পরিষদে শেহবাজের ১৬৯টি ভোট প্রয়োজন ছিল। পিটিআইয়ের নির্বাচনী প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট হারানোর পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে যোগ দেয়। দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। পিটিআই শেহবাজের মনোনয়নের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছিল তবে সেগুলি বাতিল করা হয় এবং তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া হয়। Pakistani Singer Slaps Co-Host: মধুচন্দ্রিমা নিয়ে কৌতুক করায় লাইভ শোতে সহ-উপস্থাপককে চড় মারলেন পাকিস্তানি গায়িকা, দেখুন ভিডিও

পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা এক বিবৃতিতে ওমর দাবি করেন, নওয়াজ শরিফ তার নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচনের ফলাফল কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন দলটি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হলেও তারা ২৬৫টি আসনের মধ্যে ৭৫টি আসন পেয়ে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি ছাড়াও শাহবাজের প্রতি মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট, পাকিস্তান মুসলিম লীগ, বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি, পাকিস্তান মুসলিম লীগ (জেড), ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি এবং ন্যাশনাল পার্টির সমর্থন রয়েছে এবং তিনি সে কারণে ২০০-এর বেশী ভোট পান। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংসদ ভেঙে দেওয়ার আগে শেহবাজ ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত একটি জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।