করাচি, ২৮ অক্টোবর: এই দীপাবলিতে অশুভ বিনাশ করে শুভকে আলোয় রাঙিয়ে সম্প্রীতির নিদর্শন দেখাল পাকিস্তান। করাচির (Karachi) স্বামী নারায়ণ মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে দীপাবলির প্রদীপ জ্বাললেন সেখানকার শিয়া সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলমানরা। রবিবার এই সম্প্রীতির ছবি দেখা গেল করাচির মহম্মদ আলি জিন্না রোডের স্বামী নারায়ণ মন্দিরে (Swami Narayan Temple)। হিন্দু মুসলিম একসঙ্গে জ্বাললেন দীপাবলির আলো। অন্ধকার কেটে আলোয় ফিরতে এই উদ্যোগ পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি করল।
কোথাও কোথাও জয় শ্রী রামের (Jai Shri Ram) প্রতি উত্তর এল সালাম (Salam)। কোথাও শুভ দীপাবলির (Subho Deepavali) জবাবে ধন্যবাদ দেন। এইভাবেই শুরু হয় বাক্যালাপ। তবে শুধু হিন্দুরাই নন, মুসলিমরাও হাতে হাত মিলিয়ে স্বামী নারায়ণ মন্দিরে শুভ দীপাবলি পালনে উদ্যোগী হন। বিশেষ করে মুসলিম সমাজকর্মীরা একাজে এগিয়ে আসেন। সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যাতে নির্বিঘ্নে দীপাবলি পালনের সুযোগ পায় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি ছিল তাঁদের। এই প্রসঙ্গে স্বামী নারায়ণ মন্দিরের তরফে বিজয় মহারাজ বলেন, বহু বছর ধরেই এখানকার উৎসবে হিন্দু মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষই অংশ নিয়ে সেই অনুষ্ঠানকে ভিন্ন মর্যাদায় পৌঁছে দেন। এই ধরনের উদযাপন অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে ভীষণভাবে জরুরি। কেননা এর মাধ্যমেই অন্যরা জানতে পারেন হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতিকে। আরও পড়ুন-Abu Bakr Al-Baghdadi Killed:মার্কিন সেনার গ্রেপ্তারি এড়াতে বিস্ফোরণে নিজেকে ওড়াল আইসিস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি
এই দীপাবলি উৎসবে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষে নিজেদের মধ্যে আনন্দ যেমন ভাগাভাগি করে নেন, তেমনই অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকেও সেই আনন্দের অংশীদার করেন। তবে সরকারি আধিকারিক ও নেতামন্ত্রীদের উপস্থিতিতে দীপাবলির আসল আমেজটাই অবহেলিত হয়। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ ও সমাজকর্মীদের উপস্থিতিতে সেই দীপাবলিই একেবারে নতুন প্রাণ পায়।