বাগদাদ, ২৮ অক্টোবর: আইসিস (ISIS) প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি (Abu Bakr Al-Baghdadi) মৃত, বহুবার এহেন গুজব ছড়ালেও বাস্তবে এর সপক্ষে কোনও তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি মার্কিন সেনা ও প্রশাসন। এবার সেই বাগদাদির মৃত্যুর নিশ্চিত খবর পাওয়া গেল। গত শনিবার ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছেন। শনিবার মার্কিন বাহিনীর নজর এড়াতেই নিজেকে বোমায় উড়িয়ে দিলেন বাগদাদি। জ্যাকেটেই ছিল মারাত্মক বিস্ফোরক। শনিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সিরিয়ায় ইদলিব প্রদেশের বারিশা এলাকায়। কানাঘুষো খবরটি ছড়ালেও তাকে রাষ্ট্র করেদিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “কাপুরুষ বাগদাদি কুকুরের মতো মরেছে।”
এদিকে রবিবার সকালে হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, রবিবার সকালে হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘‘গত রাতে বিশ্বের এক নম্বর জঙ্গিনেতাকে দু’ঘণ্টার অভিযানে মেরে ফেলেছে মার্কিন বাহিনী। আবু বকর আল-বাগদাদি মৃত। বিশ্বের সবথেকে ভয়ঙ্কর ও হিংস্র প্রতিষ্ঠান আইসিসের নেতা ছিল সে। বহুদিন ধরে বাগদাদিকে খুঁজছিল মার্কিন পুলিশ প্রশাসন। দেশের সুরক্ষার জন্যই বাগদাদিকে মেরে ফেলা প্রয়োজন ছিল।” ইরাকের বাসিন্দা আল-বাগদাদি ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক (আইএসআই)-এর নেতা হন ২০১০-এ। আল কায়দা সমর্থিত এই জঙ্গিগোষ্ঠী সিরিয়ায় ২০১৩ সালে আল কায়দার সঙ্গে মিশে নিজেদের পৃথক অস্তিত্ব ঘোষণা করে। বিমান ছিনতাই বা গণ-বিধ্বংসী অন্য হামলার পথ ছেড়ে ছোট ছোট অভিযানে উস্কানি দিতেন বাগদাদি।বাগদাদি গত পাঁচ বছর ধরে আত্মগোপন করেছিলেন বলে দাবি। এ বছর এপ্রিলে একটি প্রচারমূলক ভিডিয়ো প্রকাশ করে আইএসের আঞ্চলিক মুখপত্র আল-ফুরকান দাবি করে, ওই ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে, তিনিই বাগদাদি। ২০১৪-য় ইরাকের মসুলে আল নুরি মসজিদে (‘গ্রেট মস্ক’ বলেও যা পরিচিত) শেষ বার তাঁকে কালো পোশাকে দেখা যায়। আরও পড়ুন-করতারপুর করিডরের উদ্বোধনের আগেই নানকানা সাহিবে বাবা গুরু নানক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করবেন ইমরান খান
মার্কিন বাহিনী সিরিয়ায় বাগদাদির অবস্থান বুঝতে পেরে তাঁকে নজরে রেখেছিল। মৃত্যুর আগে তাঁর সঙ্গেই ছিল তিনি সন্তান ও স্ত্রীরা। নিজেই বন্ধমুখ সুড়ঙ্গে ঢুকে জ্যাকেটের বোতাম টিপে নিজেকে উড়িয়ে দেন। বিস্ফোরণের ঠিক মিনিট ১৫ পরে মার্কিন বাহিনী বাগদাদির দেহাংশ খুঁজে পায়।