ফের আন্দোলন বাংলাদেশে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি নিয়ে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ কর্মসূচি জামাত-ই-ইসলামের নেতা কর্মীরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পরেই বাংলাদেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। একাধিক আওয়ামী লিগের নেতা, পুলিশদের হত্যার পাশাপাশি অনেক সংখ্যালঘুদের ঘর পোড়ানোর খবর সামনে আসে। এমনকী মন্দিরে হামলা চালানো, অনান্য ধর্মের মানুষের ওপর খুন, অত্যাচারের খবরও সামনে আসে। যা নিয়ে চুড়ান্ত সমালোচনা হয় ভারতেও। অভিযোগ আসে অন্তবর্তী সরকার গঠনের পরেও এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তথ্য অনুযায়ী বিগত তিনদিনে হিন্দুদের ঘরবাড়িতে হামলা, ব্যবসায়ীদের দোকানে হামলা, মন্দির তছনছ, এক শিক্ষককে খুুন সহ মোট ৪৫ জন সংখ্যালঘু আক্রান্ত হয়েছেন। আর এর প্রতিবাদে শনিবার পথে নামে জামাত-ই-ইসলাম।

কার্যত চট্টগ্রামের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায় এই মিছিলে। এমনকী জামাতের নেতারা মন্দিরগুলিও পরিদর্শন করেন। জানা যাচ্ছে, ঢাকার জনপ্রিয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে (Dhakeshwari National Temple) যায় তাঁরা। সেখানে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও হয়। জামাতের নেতা বলেন, "এদেশ আমাদের সবার। আমার ধর্ম অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার রাখি না। সুতরাং সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই। সর্বোপরি আমরা বাংলাদেশি। আমার যে অধিকার থাকবে সেই অধিকার অন্য ধর্ম, অন্য দলের মানুষেরও সমানভাবে থাকবে। আমরা চেষ্টা করেছি মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করার। এইজন্য অন্য কেউ বিপদে পড়লে আমরা জিজ্ঞাসা করি না যে সে অন্য কোন দলের"।

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "যখন দেশে আন্দোলন শুরু হয় তখন থেকেই দেশবাসীর সঙ্গে সংগঠনের নেতাদের আমরা নির্দেশ দিই যে লাঠি হাতে পাহাড়া দিতে চলে যাও। শুধু হিন্দু নয়, যে কোনও সম্প্রদায় বা দলের লোকজন যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে তাহলে তাঁকে নিরাপত্তা দিয়ে আশ্বস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়ছিল। কোনও প্রতিষ্ঠান ছাড়াও যে কোনও মানুষ এখনও যদি নিরাপত্তার জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাহলে ধর্ম, বর্ণ, জাতপাত নির্বিশেষে সকলে তাঁরা সাহায্য পাবেন"।