
বাগদাদ, ৪ অক্টোবর: চাকরি, সরকারি পরিষেবার মানোন্নয়ন, দুর্নীতি রোধের দাবিতে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছে ইরাকে (Iraq)। বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এখনও পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তার মধ্যে ৩১ জন আন্দোলনকারী। বাকি ৩ জন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান। দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। বিক্ষোভ ঠেকাতে বেশ কয়েকটি শহরে নতুন করে কারফিউ (curfew) জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। দেশের বেশিরভাগ জায়গাতেই বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট। কারফিউ উপেক্ষা করে রাজধানী বাগদাদে (Baghdad) জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
চাকরি না থাকা, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা এবং চরম দুর্নীতির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার থেকে বাগদাদের রাজপথে নামেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। তারা রাজধানীর সব প্রধান সড়ক বন্ধ করে দিলে বিক্ষুব্ধদের দমনে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলি চালায় পুলিশ। বুধবার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে আরও তিন শহরে। বৃহস্পতিবার সেই বিক্ষোভ আরও বিস্তৃত হয়েছে। এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি (Adel Abdul Mahdi) ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। আরও পড়ুন: পাগড়ি ত্যাগ করুন কানাডিয়ান লাগবেন, মন্ট্রিলের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদকে পরামর্শ দিলেন কানাডার ভূমিপুত্র (দেখুন ভিডিও)
ইরাক সরকার অবশ্য বিক্ষোভকারীদের দাবি না মেনে তাদের দমনে কড়া অবস্থান নিয়েছে। পরিস্থিতি বিচার করে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী মাহদি। পরে তাঁর অফিস থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী বিক্ষোভকারীদের আলেচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছন। বৃহস্পতিবার দিয়ে এক বিবৃতিতে আদেল আবদুল মাহদির অফিস জানিয়েছে, "পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিক্ষোভকারীদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের বৈধ দাবি বিবেচনা করার জন্য তিনি দেখা করতে প্রস্তুত ছিলেন।"