
বাগদাদ, ২১ জানুয়ারি: ইরাকে (Iraq) ফের রকেট হামলা (Rocket Attacks) করল ইরান (Iran)। তিনটি রকেট নিয়ে আঘাত হানল ইরাকের রাজধানী বাগদাদের (Baghdad) উচ্চ নিরপত্তার গ্রিন জোনে (Green Zone)। ইরানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের (US Embassy) খুব কাছেই এই ঘটনা ঘটে। এমনই দাবি করেছেন নিরাপত্তা রক্ষীদের একটি সংস্থা। যদিও এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। ইরাকের বাগদাদের গ্রিনজোন লক্ষ্য করে ফের উড়ে এল রকেট। ইকনোমিকস টাইমসের খবর অনুযায়ী, রাজধানীর মার্কিন দূতাবাসের কাছে কাত্যুশা রকেট উড়ে আসে বলে জানিয়েছে ইরাকের পুলিশ। মধ্য বাগদাদের গ্রিন জোনে বিভিন্ন সরকারি বহুতলের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের দূতাবাস রয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন অভিযানে ইরানের জেনারেল কাসেম সোলেইমানির (Qasem Soleimani) মৃত্যুর পর থেকে ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে তেহরানে। ইরাকে মার্কিন সেনাকে টার্গেট করে বেশ কয়েকবার হয়েছে রকেট হামলা। ইরাকে দুটি মার্কিন সেনাঘাঁটিতে এক ডজন মিসাইল হামলা (Missile Attack) চালায় তেহরান (Tehran)। মিসাইল হামলায় ৮০ জন মার্কিন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে ইরান। অপরদিকে, ইরানের মিসাইল হানার কারণেই ইউক্রেনের (Ukraine) বিমান ভেঙে পড়ে বলে জানানো হয়েছে। ইরানের ইমাম খোমেইনি বিমানবন্দর থেকে টেক-অফ করার পরই ইউক্রেন আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থার বিমানটি ভেঙে পড়ে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর, মোট তিনটি রকেট বাগদাদের বাইরে জাফরানিয়া প্রদেশ থেকে নিক্ষেপ করা হয়। এর মধ্যে দু’টি রকেট বাগদাদের গ্রিনজোন এলাকার মার্কিন দূতাবাসের কাছে এসে পড়ে। বাগদাদের এই ভিআইপি জোনেই রয়েছে মার্কিন সহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস। তবে এদিনের ঘটনায় হতাহতের খবর এখনও অজানা। গত ৮ই জানুয়ারি বাগদাদের এই গ্রিনজোনেই মার্কিন দূতাবাসের কাছে মিসাইল হামলা হয়েছিল। ইরাকের আলা আসাদ ও ইরবিলে মার্কিন সেনা ও যৌথবাহিনীর দু’টি সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে পর পর উড়ে আসে মিসাইল। আরও পড়ুন: China Virus SARS: শিয়রে চিনা ভাইরাসের আতঙ্ক, দেশের বিমানবন্দর গুলিতে জারি সতর্কতা
বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে মার্কিন ড্রোন হানায় (Drone Attacks Of America) ছিন্নভিন্ন হয়েছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ সামরিক নেতা তথা রেভোলিউশনারি গার্ড কোরের কুদস কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। তারপর থেকেই হুমকি, পাল্টা হুমকিতে যুদ্ধং দেহি মনোভাব দুই দেশেরই। ট্রাম্পের দেশকে প্রত্যাঘাতের হুমকি দেয় ইরান। জবাবে তেহরানের শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষিতে গুরুত্ববাহী ৫২ জায়গা উড়িয়ে দেওয়ার পাল্টা হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President)। তারই মধ্যে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস লক্ষ্য করে দু’বার মিসাইল হামলা করে ইরান।