China Virus SARS: শিয়রে চিনা ভাইরাসের আতঙ্ক, দেশের বিমানবন্দর গুলিতে জারি সতর্কতা
চিনে ভাইরাস সারস (Photo Credits: AFP)

বেজিং, ২১ জানুয়ারি: 'নিউমোনিয়া'র বৈশিষ্ট্য যুক্ত করোনাভাইরাসের সম্পূর্ণ নতুন সংস্করণের উৎপত্তি ঘটেছে চিন দেশে। এই ভাইরাস একজনের শরীর থেকে আর একজনের শরীরে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ছে। শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে ঘুরছে জিবাণু। চিনে এই ভাইরাসের প্রকোপকে সোমবারই স্বীকার করে নিয়েছে সেদেশের বিজ্ঞানীরা। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যে এই বাইরাস এশিয়ার আরও তিনটি দেশে নাকি ছড়িয়ে পড়েছে, সৌজন্য চিন। সবমিলিয়ে চিনা ভাইরাস নিয়ে বেশ আতঙ্কে ভারত ও বাংলাদেশ। সে দেশে এখনও এই রোগে আক্রান্তের কোনও ঘটনা সামনে না এলেও কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় সরকার। বাংলাদেশে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে। প্রতি বিমানবন্দরে সতর্কতামূলক সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই ধরনের সতর্কতা জারি হয়েছে ভারতীয় বিমানবন্দরগুলিতে।

চিন থেকে আসা বিমান যাত্রীদের জন্য তাই থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের বন্দোবস্ত করেছে ভারতের বিমানবন্দর। অভিবাসন সংক্রান্ত চত্বর পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে দিয়ে তাঁদের যেতে হবে বলে জানিয়েছে এয়ারপোর্ট হেলথ অর্গানাজেশন (এপিএইচও)। যদি কারও মধ্যে রোগের উপসর্গ মেলে, সেক্ষেত্রে তাঁকে আইসোলেশন হাসপাতালে পাঠানো হবে। চিন-সফরে যাওয়া ভারতীয়দের জন্য নির্দেশিকাও জারি করেছে সরকার। হাতধোয়া, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হলে সে সংক্রান্ত আচরণবিধি মেনে চলা ও সর্বোপরি কাউকে দেখে অসুস্থ বলে মনে হলে তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে তাতে। রান্না না করা মাংস খেতে ও খামারে যেতেও বারণ করা হয়েছে যাত্রীদের। আরও পড়ুন-ISIS Leader Abu Abdul Bari: ২৫০ কেজির আইসিস নেতাকে গ্রেপ্তারির পর ট্রাক ভাড়া করল পুলিশ, কেন জানেন?

চিনে এই রোগে গত দু'দিনে নতুন করে আরও ১৩৯ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও থাইল্যান্ড ও জাপানে আগেই তিন জনের সংক্রমণের খবর মিলেছিল। সব মিলিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সর্বত্র। কারণও রয়েছে। আসলে ২০০২-২০০৩ সালে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সার্সের সংক্রমণে দুনিয়াজুড়ে প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার পিছনেও ছিল করোনাভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই নতুন সংস্করণ সেই সাবেক করোনাভাইরাসেরই জ্ঞাতি। তবে এখনই নয়া ভাইরাসটিকে সার্সের মতো বিপজ্জনক ভাবার কারণ নেই বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। তাহলে এত আশঙ্কা কেন?