ইসলামাবাদ, ৩০ মার্চ: পাকিস্তান (Pakistan) সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল ইমরান খানের (Imran Khan) পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (Pakistan Tehreek-e-Insaf)-র নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। সরকারের সমর্থনে থাকা সাংসদ সদস্য সংখ্যা ১৬৪-তে নেমে এসেছে। অন্যদিকে, বিরোধীদের শক্তি বেড়ে হয়েছে ১৭৭। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সফল করতে যৌথ বিরোধী দলের ১৭২ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। গতরাতে প্রধান জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (Muttahida Qaumi Movement Pakistan) বিরোধী শিবিরে নাম লিখিয়েছে। বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (PPP) সঙ্গে চুক্তি করেছে তারা।
পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি-র চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি টুইটে লেখেন, "ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দল এবং এমকিউএম একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। রাবতা কমিটি চুক্তিটি অনুমোদন করবে। আমরা আগামীকাল সাংবাদিক সম্মেলনে মিডিয়াকে বিস্তারিত জানাব। পাকিস্তানকে অভিনন্দন।" আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: ইউক্রেনের খেরসন প্রদেশের মেয়রকে অপহরণের অভিযোগ পুতিন বাহিনীর বিরুদ্ধে
মঙ্গলবারই দু'জন সাংসদ ক্ষমতাসীন জোট ত্যাগ করে বিরোধী শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। য়া ইমরান খানের জন্য জোড়া ধাক্কা। ফয়সালাবাদ থেকে পিটিআই-র সংসদীয় সেক্রেটারি আসিম নাজির পদত্যাগ করেছেন এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগে (নওয়াজ) যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে, বালুচিস্তানের নির্দল সাংসদ আসলাম ভুটানিও ক্ষমতাসীন জোট ছেড়েছেন এবং তিনি এখন বিরোধীদের পক্ষে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির কো-চেয়ারপার্সন আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে দেখা করার পর তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোট হতে পারে। পরিস্থিতি আঁচ করে সরকার বাঁচাতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ইমরান খান। মঙ্গলবার তিনি দলের সাংসদদের জন্য হুইপ জারি করেছেন। দলের সাংসদদের অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটদানে বিরত থাকার বা সংসদে উপস্থিত না থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।