সনাতন ধর্মের নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের (Chinmoy Krishna Das) গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল চেহারা নিয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সেই ঘটনার পর থেকেই ওপার বাংলায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের নানা চিত্র ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সনাতন ধর্মগুরুকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের অভিযোগ ফুঁসছে বাংলাদেশের জনগণ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের নানা ছবি ভিডিয়ো দেখে সে দেশে হিন্দুরা 'সুরক্ষিত' নয়, এমন দাবি উঠতে থাকে বিভিন্ন মহল থেকে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের ব্যর্থতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান জানান, বাংলাদেশে হিন্দুরা 'নিরাপদে' রয়েছেন এবং দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য কোনো হুমকি নেই।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশে ইসকন (ISKCON) নিষিদ্ধ করার কোন উদ্দেশ্য নেই সরকারের। গতকালই ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আর্জি খারিজ করেছে বাংলাদেশ হাইকোর্ট। শফিকুল বলেন, 'মামলার বিচারের (চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির) বিষয়ে জানি না, তবে বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ হবে না'।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সনাতনী ধর্মগুরু তথা ইসকনের প্রাক্তন কর্তা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস (Chinmoy Krishna Das)। ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন চিন্ময়। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সহ ইসকনের সঙ্গে যুক্ত ১৭ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট 'ফ্রিজ' করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ৩০ দিনের জন্যে অ্যাকাউন্টগুলো 'ফ্রিজ' রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের আর্থিক গোয়েন্দা শাখা।
চিন্ময়ের গ্রেফতারি এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার, নিপীড়নের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে পশ্চিমি দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত।